3:11 pm , September 21, 2020
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিমে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান নেয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকুলভাগ জুড়ে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। কুয়াকাটা সৈকতে গর্জনের সাথে ৫-৬ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। পায়রা বন্দরেও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে সোমবার দিনভরই মেঘলা আকাশের সাথে মাঝারী বর্ষন অব্যাহত ছিল। সকাল ৬টায় বরিশালে ৮ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ১৬ মিলিমিটার ছাড়াও সাগর পাড়ের কলাপাড়াতে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত বরিশালে আরো ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকুলভাগ জুড়ে আকাশ কালো করা মেঘের সাথে মাঝারী ধরনের বজ্র বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এর আগে রবিবার শেষ রাত থেকে প্রত্যুষে পর্যন্ত মাত্র দেড়ঘন্টায় দেশের সর্বাধিক ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বরিশালে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ৭৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়া বিভাগ থেকে মৌসুমী বায়ু সারা দেশে সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়ে বরিশাল সহ উপকুলভাগে মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষনের সম্ভবনার কথা বলা হয়েছে। এমনকি মঙ্গলবার সকালের পরবর্তি ৪৮ ঘন্টায়ও এ ধরনের দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে। তবে আশি^নের এ বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে গত কয়েকদিনের তাপ প্রবাহকে যথেষ্ট প্রশমিত করেছে। বরিশালে শণিবার ৩৬.১ ও ভোলাতে ৩৬.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের তাপমাত্র সোমবারে ৩২ ডিগ্রি মধ্যে ছিল।
এ বর্ষন দক্ষিণাঞ্চলের মূল দানাদার খাদ্য ফসল আমনের জন্য তেমন কোন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে না বলে কৃষিবিদগন জানালেও আগাম শীতকালীন শাক-সবজির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গত মাসেও ভাদ্রের বড় অমাবশ্যায় ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারের প্লাবন ও বর্ষনে দক্ষিণাঞ্চলের শাক-সবজি সহ উঠতি আউশ সহ রোপা আমন ও আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি করেছে।