3:45 pm , September 19, 2020
এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া ॥ বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য মো. মন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর এন্তার অভিযোগ। সরেজমিনে তার এলাকায় গেলে জন প্রতিনিধি হওয়ার পর থেকেই নিজ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে আসছেন। এলাকাবাসীর সাথে প্রতারণা করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। তারা মো. মন্টু মিয়ার উন্নয়ন কাজের কয়েকটি পুলের বেহাল অবস্থা দেখান। যে গুলো নির্মাণ করার ১ বছরের মধ্যেই বেহাল অবস্থায় হয়েছে। বর্তমানে ধ্বসে পড়া ওই পুল গুলোর একাংশে সুপারি গাছের পাইলিং দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন এলাকাবাসী। আবার একটি পুল রাস্তা থেকে খালের মধ্যে প্রায় দেড় ফুট সরে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। উত্তর- পশ্চিম মলুহার বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে যাবার পুলটি গত বছর একটি বরযাত্রীবাহী ট্রলারের ধাক্কায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বসে খালের মধ্যে পড়ে যায়। পরে ওই বর যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে নিজের কাছে রাখে রাখেন। স্থানীয়রা বার বার অনুরোধ করলেও ওই ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করেননি। মসজিদের মুসল্লী এবং স্থানীয় তালতলা বাজারের দোকানীরা সুপারি গাছ ও বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন। চান্দের হাট জামে মসজিদের পাশের পুলটিরও অবস্থাও বেহাল। ঐ পুল গুলো নির্মাণে ইউপি সদস্য মো. মন্টু মিয়া ঠিকাদার ছিলেন। এলাকাবাসী আরও জানান, মন্টু মিয়া যে পুল গুলো নির্মাণে ঠিকাদারী করেছেন সে গুলোর কাজের মান নিন্ম। এ সব অভিযোগের প্রতিবাদ করলে তার নিজস্ব বাহিনীর লোকেরা বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়। তার এলাকার পবনের হাট লাগোয়া আয়রণ ব্রিজটি খালের মধ্যে সম্পূর্ণ ধ্বসে পরে। ওই ব্রিজের লোহার সামগ্রী ইউনিয়ন পরিষদে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ইউপি সদস্য মো. মন্টু মিয়া মালামাল পরিষদে না নিয়ে পবনের হাটের শাহিনের ওর্য়াকশপে নিয়ে যান। এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া বলেন, যে ব্রিজ গুলোর ব্যপারে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, সেগুলো ৪/৫ বছর আগের করা। এখন সামান্য ক্ষতি হতে পারে। তবে সে গুলো অচিরেই মেরামত করা হবে। আর আয়রণ ব্রিজের লোহার ব্যপারে জানান, অন্য একটি পুল করতে তিনি ৪টি ভিম ও কিছু এ্যাঙ্গেল নিয়ে ছিলেন, তবে সেগুলো পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিয়ে।