2:10 pm , September 18, 2020
আগৈলঝাড়া প্রতিবেদক ॥ আগৈলঝাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে বাড়ি ফেরার পথে হামলাকারীদের পথরোধের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে প্রতিপক্ষ। উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কাজী আবুল বাশারের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৬৫) অভিযোগে বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে একই এলাকার সৈয়দ আলী ফকিরের ছেলে রকিব ফকির, এনায়েত কাজীর ছেলে আল ইমলাম ও আকতার হোসেনের ছেলে সুরুজ কাজী তার বাড়ির সামনে এসে তাদের উদ্দ্যেশে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। এসময় তার ছেলে মামুন কাজী ও দেবর সোহাগ কাজী গালাগালির প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন মমতাজ বেগমকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে ইটের আঘাতে তার কপাল ফেটে যায়। এসময় তার ছেলে ও দেবরের সাথে প্রতিপক্ষের হাতাহাতির এক পর্যায়ে রকিবকেও তারা ধাক্কা মারলে সেও মাটিতে পরে ইটের আঘাতে তারও কপাল কেটে যায়। আহত রকিব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মমতাজ বেগম আরও জানান, তার উপর হামলার ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যার পরে আগৈলঝাড়া থানায় এসআই মনিরুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তারা ইজি বাইকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন মোটরসাইকেলে তাদের ধাওয়া করলে তারা রাজিহার ষ্ট্যান্ডে আশ্রয় নেয়। শুক্রবার সকালে এসআই মনিরুজ্জানের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবার কথা থাকলেও সকালে এসআই সুশান্ত কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসআই সুশান্ত কুমারের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন যে রকিব ফকির বাদী হয়ে তার ছেলে, দেবরসহ ৪ জনকে আসামী করে উল্টো তাদের নামে মামলা করেছেন। রাজিহার গ্রামের মৃত মোকলেচ ফকিরের ছেলে মনির ফকির মমতাজ বেগমকে ধাওয়া করার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, তারা ঘটনাস্থলে ছিল বলেই তাদের উপর কোন হামলা করতে পারেনি তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন। বৃহস্পতিবার থানার ডিউটি অফিসার এসআই মনিরুজ্জামান মমতাজ বেগমের লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সকালে তার ঘটনাস্থলে যাবার কথা ছিল। কিন্তু অপর পক্ষের দায়ের করা মামলা এসআই সুশান্ত কুমার তদন্ত কর্মকর্তা হওয়ায় তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসআই সুশান্ত কুমার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ৪জনকে আসামী করে রকিব ফকির মামলা দায়ের করেছেন, নং-৪। ওই মামলায় তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পেয়েছেন। এসআই মনিরুজ্জামানের কাছে মমতাজ বেগমের লিখিত অভিযোগের বিষয় তিনি অবগত নন। তার পরেও ওই অভিযোগসহ মামলার বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি। এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা অফিসারসার ইন চার্জ মো. আফজাল হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মমতাজ বেগমের অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত নয়। এসআই মনিরুজ্জামানের কাছে মমতাজ বেগমরে অভিযোগ বিষয়ে তাকে অবহিত করলে তিনি আরও বলেন, তাহলে অভিযোগের বিষয়ে এসআই মনিরুজ্জানই ব্যবস্থা নেবেন।