3:11 pm , September 15, 2020
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ দক্ষিণাঞ্চলে পেয়াঁজের অগ্নিমূল্যে জন জীবনে নাভিশ^াস উঠার মধ্যে রাষ্ট্রীয় বানিজ্য সংস্থা-টিসিবি বিক্রি কার্যক্রম সীমিত করায় জনতার দূর্ভোগ আরো বাড়ছে। মাত্র এক কেজি করে পেয়াঁজ বিক্রিতে কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে মানুষ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ টাকা দরে মাথাপিছু ২ কেজি করে পেয়াজ বিক্রি করে। সোমবার ভারত পেয়াজ রপ্তানী বন্ধের ঘোষনার পরে মঙ্গলবার থেকে ১ কেজি করে পেয়াঁজ বিক্রি করছে সংস্থাটি। ফলে মঙ্গলবার ১ কেজি পেয়াঁজের জন্য কাজ ফেলে টিসিবি’র গাড়ী খুজে লাইনে দাড়ানোর আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি।
টিসিবি’র বরিশাল বিভাগীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি জেলা সদরে দুটি, উপজেলায় ১টি এবং মহানগরীতে ৫টি ট্রাকে পেয়াঁজের সাথে চিনি, মুসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু জেলা সদর, বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং অবশিষ্ট ৩৫টি উপজেলায় মঙ্গলবার মাত্র ১৬টি মিনি ট্রাকে পেয়াঁজ সহ টিসিবি’র পণ্য বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে পেয়াঁজ দেয়া হয়েছে সর্বমোট মাত্র ৩ টন।
ফলে সীমিত এ পেয়াঁজ বিক্রি বাজারে বিরূপ পরিস্থিতির উপর তেমন কোন প্রভাব ফেলছেনা। এমনকি দ্বীপজেলা ভোলাতে মঙ্গলবারেও টিসিবি’র কোন পণ্য পৌছেনি। সেখানকার ডিলারগন আগ্রহ না দেখানোর কারনেই পণ্য বিক্রি সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ উপজেলা সদরেও পেয়াঁজ সহ টিসিবি’র পণ্য বিক্রি হয়নি মঙ্গলবার পর্যন্ত।
টিসিবি’র ভ্রাম্যমান গাড়ীতে প্রতিকেজি পেয়াঁজ ৩০ টাকা, চিনি ও মুসুর ডাল ৫০ টাকা করে এবং ভোজ্যতেল ৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু টিসিবি’র পেয়াঁজ বিক্রি কার্যক্রম সম্প্রসারন না করলে বাজারে তেমন কোন ভাল ফল আশা করছেন না ওয়াকিবহাল মহল। মঙ্গলবারে বরিশালে খুচরা বাজারে দেশী পেয়াঁজ ৭৫ টাকা এবং আমদানীকৃত পেয়াঁজ ৬৫-৬৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। গত বছরের মত এবারো পেয়াঁজের অগ্নিমূল্য দক্ষিণাঞ্চলের আমজনতার দূর্ভোগকে অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলেছে ইতোমধ্যে।