ইলিশ আমদানী কম প্রতি মণে বেড়েছে ১০ হাজার টাকা ইলিশ আমদানী কম প্রতি মণে বেড়েছে ১০ হাজার টাকা - ajkerparibartan.com
ইলিশ আমদানী কম প্রতি মণে বেড়েছে ১০ হাজার টাকা

3:11 pm , September 12, 2020

সাঈদ পান্থ ॥ জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় আকারের রূপালি ইলিশ। এই চিত্র গত দুই দিন আগের। কিন্তু এখন ভিন্ন চিত্র। হঠাৎ করে ইলিশ শিকার হচ্ছে কম। যার কারণে সেই প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামেও। গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি মন গ্রেডের (বড় সাইজের) ইলিশের দাম ১০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বরিশাল মোকামে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মন ইলিশ আসলেও এখন আসছে মাত্র ১ থেকে দেড় হাজার মন। যার কারণে দামেও এমন হেরফের পরিলক্ষিত হচ্ছে। বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসার (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুর্ণিমার জোঁ কেটে যাওয়ায় এখন তেমন একটা মাছ পড়ছে না। তবে আবার অমাবশ্যা এলেই ইলিশ পড়বে। দু’দিন আগেও ইলিশের দাম কম ছিল। কিন্তু সরবরাহ অপেক্ষা চাহিদা বেশী হওয়ায় এখন ইলিশের দাম বেড়ে গেছে।’ গত শনিবার বরিশালের ইলিশ মোকামের পাইকারি বাজারে ২২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে কেজি দরের ইলিশ। এই দরের হিসাবে প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়েছে ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই ছিল ইলিশের সর্বনিম্ন বাজারদর। সাগরে ধরা পড়া বিপুল পরিমাণ ইলিশ মোকামে আসার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে ক্রেতার অভাব আর ভারতে ইলিশ পাচার বন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। যা গত বুধবার পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। কিন্তু গত দু’দিনের এই কেজি দরের ইলিশ বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৩২ হাজার টাকা দরে। কারণে হিসেবে জানা গেছে, আগের মত ইলিশ ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে। যার কারণে সরবরাহ অপেক্ষা চাহিদা কমে গেছে।
সরেজমিন নগরীর শুক্রবার পোর্টরোড ইলিশ মোকামে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজি সাইজের ইলিশ পাইকারি প্রতি মণ ৩২ হাজার টাকা, যা আগে প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায়। ৫শ’ থেকে ৮শ’ গ্রামের প্রতি মণ ২৮ হাজার, যা আগে বিক্রি হয়েছে ১৮ হাজার টাকায়। প্রতি মণ জাটকা (৩শ’ থেকে ৪শ’ গ্রাম পর্যন্ত) ১৬ হাজার টাকা। যা আগে বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা দরে। পোর্ট রোডের আড়তদার তালুকদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. কবির হোসেন বলেন, ‘গত দুই দিন মোকামে সাগরের ইলিশের আমদানি কমে গেছে। তাই দাম অনেক বেড়ে গেছে।
মহিপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ বিক্রি করতে আসা কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের জেলে আবদুল আজিজ বলেন, আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দর গত এক সপ্তাহ জমজমাট ছিল। প্রচুর পরিমানের ইলিশ নিয়ে অনেকগুলো ট্রলা ভীরতো। কিন্তু গত দুই দিন ধরে মাছ পড়ছে না। তাই ট্রলারের সংখ্যাও কমে গেছে। মহিপুর মোকামের বেশ কয়েকজন আড়ৎদার জানান, আগের মত ইলিশ জালে ধরা পড়ছে না। যার কারণে ইলিশের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। দামও কয়েকগুন বেড়ে গেছে। তবে খুব শীঘ্রই অনেক ইলিশ ধরা পড়বে। তখন আবার দাম কমে যাবে। বরিশাল নগরীর পোর্টরোড ইলিশ মোকামের কয়েকজন আড়াৎদার জানালেন ইলিশের শিকার কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT