3:21 pm , September 3, 2020
মো: আফজাল হোসেন, ভোলা থেকে ॥ ভোলায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় সাধারন কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। বিস্তীর্ন ফসলের ক্ষেতে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এখন চাষীরা। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হতে পারবে এসব কৃষকরা বলে আশাবাদ করছেন। তবে ধান বিক্রি নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। কৃষি অধিদপ্তর এবং কৃষকদের সাথে আলোচনায় জানা গেছে, বিগত বছরের মত এ বছরও বিস্তীর্ন ফসলের ক্ষেতে আউশ ধানের আবাদ করেছেন চাষীরা। কয়েক দফা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিসহ প্রকৃতিক দুর্যোগ হলেও ফলন ভালো হওয়ায় অনেক খুশি এবার ভোলার কৃষকরা। ক্ষেতের ধান পেকে যাওয়ায় কারো বসে থাকার সময় নেই। চারদিকে ফসল কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়ে গেছে।পাকা ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন চাষীরা।বিগত বছরের চেয়ে এ বছর আরো বেশী লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বাজারের বিক্রির দামও এবচর ভালো পাচ্ছেন। কৃষি বিভাগের সুতে জানা গেছে, জেলার সাত উপজেলায় এ বছর ৯৮ হাজার ৭শ ৫৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে সদরে ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর, দৌলতখা উপজেলায় ৯হাজার ৬০০হেক্টর,বোরহানউদ্দিনে ৯ হাজার ২০০,তজুমদ্দিনে ৩ হাজার ৮০০, লালমোহনে ১২ হাজার ৮২৬, চরফ্যাশন উপজেলায় ৩১ হাজার ৫৮ হেক্টর ও মনপুরা উপজেলায় ২হাজার ৩০১হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েচিলো।২২ হাজার ২শ কৃষকদের প্রনোদনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ। প্রনদনা পেয়ে অনেক বেশী উৎসাহ নিয়ে আউশ ধানের আবাদ করেন বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। ভোলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হরলাল মধু জানান, এ বছর আউশের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল জাদের আউশে হেক্টর প্রতি ৩ মেট্রিক টন ও স্থানীয় জাতে ১.৯ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে। তিনি বলেন,ইতমধ্যে ৭০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। ধান থেকে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২লাখ ৩৪ হাজার ৫শ ১১ মেট্রিক ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।