3:42 pm , August 31, 2020
এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া ॥ বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদী পারাপারে যাত্রী সাধারণ প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছেন খেয়া ইজারাদারের লোকজনের খাম খেয়ালীপনায়। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পারাপর করছে। খেয়া পারাপারের জন্য বরিশাল জেলা পরিষদ বৈশাখ মাসে ইজারা ডাকলে বাইশারী ইউপি সদস্য মোঃ জাহাংগীর হোসেন ফরাজী এবং প্রতিদ্বন্দি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মাওলাদ হোসেন সানা। এদের প্রতিদ্বন্দিতার জন্য গত অর্থ বছরের ৩০ লাখ টাকার ডাক ৬০লাখ ২৫ হাজার টাকায় ইউপি সদস্য মোঃ জাহাংগীর হোসেন ফরাজীকে ওই ইজারা বরিশাল জেলা পরিষদ তাকে কার্যাদেশ দেয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন যাত্রী সাধারণ। পূর্বে সন্ধ্যা নদী পার হতে যাত্রী প্রতি ৪টাকার স্থলে ৮টাকা মটর সাইকেল ১৫ টাকার স্থলে ৩০টাকা, অটো বা বৌ গাড়ী ৩৫টাকার স্থলে ২শটাকা জোড় পূর্বক আদায় করছে। এর প্রতিবাদ করলে হয়রানীর শিকার হন যাত্রীরা। খেয়া পারাপরের টোল চার্ট এর কথা জানতে চাইলে যাত্রদীরে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকী দেয়া হয়। এ নিয়ে রোববার এক যাত্রী আব্দুল আউয়াল জানান, প্রশসানের পক্ষে কোভিট-১৯ বিষয়ে প্রচার শেষে বৌ গাড়ীর ভাড়া বাবদ ৪শ টাকা দাবী করে। এর পতিবাদ করলে তাকে ইজারাদারের ছেলে সাগর বিভিন্ন হুমকী দেয়। এ বিষয় ইউএনও কে জানাতে চাইলে ইজারাদারের ছেলে সাগর অশ্লীল ভাষায় হুমকী দেয়। পরে তার কাছ থেকে ২শ টাকা আদায় করে। ভূক্তভোগী হরিচাদ ও মোঃ সুমন জানান, আমাদের মটর সাইকেল পার করতে ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। এ ব্যাপারে ইজারাদার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ফরাজী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা এবং তার ছেলে কারো সাথে খারপ ব্যাবহার করেনা। টোল চার্ট কেন লাগানো হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত কি দেয় সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের দৃস্টি আকর্ষন করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে ইজারা কর্তৃপক্ষ বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মানিকহার রহমান জানান, টোল চার্ট ছাড়া খেয়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা সম্পূর্ন অন্যায়। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবসাথা নেব।