বাকেরগঞ্জে বহিস্কৃত আ’লীগ নেতার মহসিনের ইন্ধনেই আ’লীগ নেতা বারেক মোল্লার উপর হামলা বাকেরগঞ্জে বহিস্কৃত আ’লীগ নেতার মহসিনের ইন্ধনেই আ’লীগ নেতা বারেক মোল্লার উপর হামলা - ajkerparibartan.com
বাকেরগঞ্জে বহিস্কৃত আ’লীগ নেতার মহসিনের ইন্ধনেই আ’লীগ নেতা বারেক মোল্লার উপর হামলা

3:14 pm , August 29, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাকেরগঞ্জে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা হত্যা মামলার আসামী সাবেক চেয়ারম্যান মীর মহসিনের উসকানিতেই হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। মীর মহসিনের একান্ত অনুচর দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হত্যা, ধর্ষন, গুম, অস্ত্র ও চাঁদাবাজি সহ ২২ মামলার আসামী স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামুন মীর মহসিনের নির্দেশেই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বারেক মোল্লার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর উত্তেজিত জনতার হাতে গনধোলাইর শিকার হন হাত কাটা মামুন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা হাইস্কুল সংলগ্ন খান বাড়ির সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে গুরুতর আহত হাতকাটা মামুন এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেক মোল্লাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাতকাটা মামুন ও বারেক মোল্লাকে উন্নত চিকিৎসকার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা চলছে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলাকায় পুলিশ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানান বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম। স্থানীয় কাকরধা পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদউদ্দিন জানান, ফরিদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামীসহ তার বিরুদ্ধে অন্তত ২০/২২টি মামলা রয়েছে। তার সাথে স্থানীয় একাধীক লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেক মোল্লাকে তার বসতঘরে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মামুন ও তার লোকজন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া করে মামুনকে ধরে গণধোলাই দেয়। এসময় উত্তেজিত জনতা মামুনের দুটি চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাত থেকে হাতকাটা মামুন এবং আ.লীগ নেতা বারেক মোল্লাকে তার ঘর থেকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে রাতে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। ফাঁড়ি ইনচার্জ আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রেনে বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামুন বলেন, আমি কাহারো উপর হামলা করিনি। বারেক মোল্লার উপর হামলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমার প্রতিপক্ষরা আমার উপর চালিয়ে চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা করে। আহত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেক মোল্লা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ হাতকাটা মামুনের নেতৃত্বে তার ১৫/১৬জন সহযোগী নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই মামুন আমার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করতে থাকে। এতে আমার শরীরে ৭/৮টি কোপ লাগে। বারেক মোল্লা জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আমি মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় হাতকাটা মামুন আমার এবং আমার লোকজনের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, আওয়ামীলীগ নেতা বারেক মোল্লা এবং ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুন আহতের ঘটনায় উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি। উল্লেখ্য, বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মীর মহসিনের কারণে বাকেরগঞ্জের ফরিদপুর ইউনিয়নে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘঠিত হলেও পুলিশ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT