3:03 pm , August 28, 2020
কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥ পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শণকরেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় পানি উন্নয়নবোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ’র নেতৃত্বে পাউবোর একটি দল সৈকত এলাকাপরিদর্শন করেন। গত কয়েক দিনে আগে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ সৈকতের বিভিন্নস্থান তারা ঘুরে দেখেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (কালাপাড়া সার্কেল) নির্বাহীপ্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান সহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, অস্বাভাবিক জোয়ারেরতান্ডবে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সর্বত্র এখন যেন ধ্বংসের ছাপ পড়েআছে। জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে সৈকতের অন্তত ৩০/৪০ ফুট প্রস্থ বেলাভূমি গিলে খেয়েছেবিক্ষুব্ধ সাগর। ভেসে গেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের দোকানসহ মালামাল। ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশিছিল যে বালুর নিচের সাবমেরিন ক্যাবলের অপটিক্যাল লাইন বের হয়ে গেছে। উত্তাল ঢেউয়েরআঘাতে ভেঙে গেছে সৈকতের লাগোয়া একটি আবাসিক হোটেলের একাংশ। হুমকির মুখে রয়েছেপাবলিক টয়লেট। উপড়ে পড়েছে অশংখ্য গাছ পালা। শুধু সৈকত নয়। ঢেউয়ের ঝাপটায় বন্যানিয়ন্ত্রণবেড়িবাঁধও চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। একই সাথে ধ্বংসে পরিণত হয়েছে বনবিভাগের রিজার্ভ ফরেস্ট ওকুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ইকোপার্ক। কুয়াকাটার সৈকত লাগোয়া সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবেখ্যাত মসজিদ ও মন্দিরটি রয়েছে ঝুঁকিতে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের (কালাপাড়া সার্কেল) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদওয়ালিউজ্জামান বলেন, সৈকতের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের ২৭০ মিটার সৈকত প্রটেকশনের উদ্যোগ নেয়াহয়েছে। ভাঙন রোধে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে আপাতত ৩২’শ জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এ সপ্তাহেইজিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে।বরিশাল বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন,কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় একটি স্থায়ী প্রকল্পমন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে গোটা সৈকত রক্ষায় কাজ শুরু হবে বলেতিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।