4:05 pm , August 23, 2020
সাঈদ পান্থ ॥ একটি ব্রিজের কারণে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কটি। মাত্র ৫ মাস পূর্বে ব্রিজটি উদ্বোধন করা হলেও ওই এপ্রোচ সড়কের দুই প্রান্তের ৬শ’ মিটারে সৃষ্টি হয়েছে অর্ধশত গর্তের। যার কারণে নির্মাণ সামগ্রী বা নির্মাণ কাজ নিয়ে তৈরি হয়েছে নানান প্রশ্নের। যদিও সড়ক ও জনপথের দাবী ব্রিজটি তাদের তত্ত্বাবধায়নে নির্মাণ হয়নি। তারপরও যারা নির্মাণ করেছে তাদের কাছে গর্তের কথা জানানো হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ মার্চ বরিশাল, খুলনা ও গোপালগঞ্জ জোনে ও?য়েস্টার্ন বাংলা?দেশ ব্রিজ ইম্প্রুভ?মেন্ট প্র?জে?ক্টের আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জাইকার অর্থায়নে নির্মিত ২৫টি সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ২৫টি সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় বরিশাল বিভাগে ৯টি ও শুধু মাত্র বরিশাল জেলায় ৭টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এই ৯ ব্রিজের প্রকল্প ব্যায় হয় ১৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বরিশাল জেলার ব্রিজগুলো হচ্ছে গৌরনদীর সাউদের খাল সেতু, গয়নাঘাটা সেতু, আশোকাঠি সেতু, রহমতপুর সেতু, রায়েরহাট সেতু, বোয়ালিয়া বাজার সেতু ও বাকেরগঞ্জ সেতু। কিন্তু এই ব্রিজগুলোর মধ্যে রহমতপুর ব্রিজটির অবস্থা খুবই খারাপ। এই ব্রিজটি নির্মাণ করেছে বিএনকো নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রহমতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: হোসাইন বলেন, ৩/৪ বছর নানা দুর্ভোগ দিয়ে নির্মিত হয়েছে এই ব্রিজটি। কিন্তু মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যে সেই ব্রিজই হয়ে গেছে মরণ ফাঁদ। ব্রিজের দুই পাশে অসংখ্যা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনে সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্রিজের পাশের দুই দোকানী জানান, নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে উদ্বোধনের মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যে বেহাল হয়েছে এই ব্রিজটি। সব সময় ভয়ের মধ্যে কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে। গর্তে পরে দ্রুত গতির গাড়ী যে কোন সময় উল্টে যেতে পারে। এমনকি আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। পথচারী আসরাফুল ইসলাম বলেন, মাঝে মাঝে দেখেছি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা গর্তে পরির্দশন করেছেন। কিন্তু কোন অগ্রগতির কাজ করেননি। যার কারণে আমরা স্থানীয়রা ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। দ্রুত গর্তগুলো ঠিক না করালে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে। অপর এক স্থানীয় জানান, নি¤œমানের কাজ হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। হয়তো বা তারাও কোন লাভের কারণে ঠিকাদারকে কাজে বাঁধা দেইনি। আর এই কারণে আজ এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান জানান, গর্তগুলো আমাদের নজরে এসেছে। তবে এই ব্রিজ নির্মাণ আমাদের একটি সহ প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছে। গর্তের বিষয়ে আমরা ও?য়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইম্প্রুভ?মেন্ট প্র?জে?ক্টের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। এব্যাপারে ও?য়েস্টার্ন বাংলা?দেশ ব্রিজ ইম্প্রুভ?মেন্ট প্র?জে?ক্টের প্রযেক্ট ম্যানেজার মো: জাকির হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে রহমতপুর ব্রিজে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কারণ বিটুমিনের শত্রু পানি। টানা বৃষ্টিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি কমলেই গর্ত ঠিক করে দেয়ার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। ৯টি ব্রিজের মধ্যে কেন এই ব্রিজে সমস্য হলো এমন প্রশ্নের জবাবে প্রযেক্ট ম্যানেজার জাকির বলেন, সমস্যা হতেই পারে। সমস্যা হলে এর সমাধানও আছে। আমরা খুব শিঘ্রই সমস্যা সমাধান করবো।