লকডাউন হচ্ছে বরিশাল সিটি এলাকা লকডাউন হচ্ছে বরিশাল সিটি এলাকা - ajkerparibartan.com
লকডাউন হচ্ছে বরিশাল সিটি এলাকা

2:53 pm , June 15, 2020

হেলাল উদ্দিন ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকা সম্পূর্ন লকডাউনের নির্দেশনা এসেছে। গতকাল ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জনকে এ নির্দেশনা প্রদানসহ তা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়। করোনা সংক্রমনের ব্যাপকতার কারনে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকা রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার কারনে মূলত এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আমাকে ফোন করে প্রদত্ত নির্দেশনা দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। এদিকে এ নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই লকডাউন বাস্তবায়নের সুপারিশ করে বরিশালের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের চিঠি প্রদান করেন সিভিল সার্জন। বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহবুদ্দিন খান বলেন লক ডাউন করার নির্দেশনা কার্যকরের জন্য বেশ কিছু পূর্ব প্রস্তুতি ও বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। তা সম্পন্ন করার পরই লক ডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ বেশ কিছু মহলের সাথে আলোচনার বিষয় রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্তুতি মূলক কাজ শেষ করে লক ডাউন বাস্তবায়ন করতে কিছু সময় লেগে যাবে। বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেন। বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, দুপুরে বাই টেলিফোনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক সিটি করপোরেশন এলাকা লকডাউন করার জন্য নির্দেশনা দেন এবং অতি অতি দ্রুত সময়ে তা বাস্তবায়ন করতে বলেন। এছাড়া রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত এলাকা লকডাউন করার ক্ষেত্রে প্রদত্ত সকল শর্ত শতভাগ কার্যকর করার কথাও বলেন ওই পরিচালক। সিভিল সার্জন বলেন এ নির্দেশনার পরপরই বিষয়টি অবহিত করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর প্রধানদের লক ডাউন বাস্তবায়নের সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কোন দপ্তর একক ভাবে এক লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারে না। তাই জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বয় করে লগডাউন বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া যেহেতু লকডাউনের আওতা সিটি করপোরেশন এলাকা তাই এ কাজে তাদেরকেও সহযোগীতা ও সংযুক্ত থাকবে হবে। সিভিল সার্জন আরো বলেন লকডাউনকৃত এলাকার জন্য সরকার যে সব শর্ত পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন তা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে প্রদত্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেখানে ‘রেড জোন’ হবে সেই এলাকাকে ব্লক করা হবে। ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। রেড জোনে লকডাউন বাস্তবায়ন করবে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসন। এছাড়া “রেড জোনে দেয়া লকডাউন ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে। সেখানে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বুথ বসানো হবে। থাকবে চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স। খাবার, ওষুধ ও বাজারের সব ব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে ভেতরেই করা হবে। সবদিক থেকে ওই এলাকাটিকে ঘিরে দেয়া হবে যাতে মানুষ বাইরে বের হতে না পারে, এবং বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে না পারে। উল্লেখ্য যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ জন মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করে লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে। ১৫ জুনের পর থেকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউনের কাজ শুরু করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT