আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ থাকে না নগরীতে আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ থাকে না নগরীতে - ajkerparibartan.com
আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ থাকে না নগরীতে

2:46 pm , May 8, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মহানগরীর বিদ্যুৎ বিতরন ও সবরাহ ব্যবস্থা বারবারই চরম বিপর্যয়ের কবলে পড়ছে। ভোগান্তিতে পড়ছে লাখ লাখ মানুষ। ‘আকাশে মেঘ জমলে এ নগরীতে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়’ এ প্রবাদ থেকে বের হতে পারছে না পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরন কোম্পানী-ওজোপাডিকো। চলতি মৌশুমে বরিশাল মহানগরী ও সন্নিহিত এলাকার ওপর দিয়ে ছোট ও মাঝারী যতগুলো কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে, ততবারই বিদ্যুৎ নিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে নগরবাশী। বৃহস্পতিবার সন্ধার পরে ৩৫ কিলোমিটার বেগের ঝড়ে এ নগরী সহ ঝালকাঠী জেলার বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ ছিল গভীর রাত পর্যন্ত। নগরীর প্রায় ২২টি ১১/.০৪ কেভি ফিডারের মাধ্যমে পৌনে দু লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ পৌছে দিচ্ছে ওজোপাডিকো’র দুটি বিতরন বিভাগ। সাথে রয়েছে ৬টি ৩৩ কেভি ফিডার। কিন্তু জরাজীর্ন বিতরন ও সরবারহ লাইন সহ ১১ কেভি ও ৩৩ কেভি লাইনগুলোর কারনে নগরবাশীর ভোগান্তির কোন শেষ নেই। এর সাথে ওভারলোডেড ট্রান্সফর্মার এবং তার নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে এনগরীর বিদ্যুৎ সরবারহ ও বিতরন ব্যবস্থার কোন উন্নতি হচ্ছে না। তবে এসব কিছুর সাথে বরিশাল মহানগরীর মূল কেন্দ্রেস্থলের বাইরের এলাকার ফিডারগুলোর সংস্পর্ষে আসা গাছপালাকে দায়ী করেন বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ লাইন থেকে নিরাপদ দুরত্বে গাছপালা রাখতে যে কাজটি করা প্রয়োজন তাও হচ্ছে না সঠিকভাবে। ফলে সামান্য বাতাসেও সরবারহ ও বিতরন লাইনের কাছের গাছপালার ঝাপটায় এনগরীর একাধীক ফিডারে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে যেসব ফিডারের লাইনের কাছে গাছপালা নেই সেগুলেতেও বিদ্যুৎ সরবারহ নিরবিচ্ছিন্ন নয়। তবে এসব কিছুর সাথে বরিশাল মহানগরীর বিতরন ও সরবারহ লাইন ছাড়াও অন্যান্য বিদ্যুৎ সরঞ্জামের নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন সহ তা পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছেন ওয়াকিবাহল মহল। এ লক্ষে সবধরনের সরঞ্জামাদি সহ যানবাহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও তাগিদ দেয়া হয়েছে। উপরন্তু নিয়মিতভাবে ট্রান্সফর্মার সমুহের চাপ পরিক্ষা সহ তা বিকেন্দ্রী করনেরও তাগিদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যত দ্রুত সম্ভব এনগরীর ১১ কেভি ও ৩৩ কেভি লাইনসমুহ ভূগর্ভে স্থাপনের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহাল মহল। একই সাথে প্রতিটি ১১ কেভি ফিডার নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষনের মাধ্যেমেও গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা সহ প্রতিটি অভিযোগ কেন্দ্রে সার্বক্ষনিক যানবাহন সহ কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করারও তাগিদ দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে ওজোপাডিকোর দায়িত্বশীল সূত্রে আলাপ করা হলে তারা জানান, নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন কাজটি চলছে। পুরনো লাইন পরিবর্তন সহ সংস্কার কাজও চলমান রয়েছে। নগরীতে আরো ৩টি ৩৩/১১ কেভি সাব-স্টেশন নির্মান কাজও শুরু হয়েছে। ২০২১-এর জুনের মধ্যে এসব কাজ শেষ হলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কতৃপক্ষ।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT