আমতলীতে আদার কেজি চারশ ও লেবুর হালি ষাট আমতলীতে আদার কেজি চারশ ও লেবুর হালি ষাট - ajkerparibartan.com
আমতলীতে আদার কেজি চারশ ও লেবুর হালি ষাট

2:26 pm , May 1, 2020

আমতলী প্রতিবেদক ॥ বরগুনার আমতলীতে সপ্তাহখানেক পূর্বেও আদার কেজি ছিল একশত চল্লিশ টাকা ও লেবুর হালি ছিল বিষ টাকা। বর্তমানে বাজারে আদার কেজি চারশত টাকা ও লেবুর হালি ষাট টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। সরেজমিনে পৌরশহরসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখাগেছে, দেশব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ও লকডাউন চলার কারনে সারাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ রয়েছে। এ কারনে ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চল থেকে আদাসহ মসল্লা জাতীয় দ্রব্যাদি আসা প্রায় বন্ধ রয়েছে বলে পাইকারী (মহাজনী) বিক্রেতারা জানান। এ জন্য বাজারে আদার সংকট দেখা দেয়ায় হঠাৎ আদার দাম বেড়ে গেছে। আবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আদা গুদামজাত করে বাজারে কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করারও অভিযোগ রয়েছে। এসব কারনে বাজারে আদার প্রচুর সংঙ্কট দেখা দেয়ায় বাড়তে থাকে আদার দাম। সপ্তাহখানেক পূর্বেও বাজারে যে আদার কেজি ছিল একশত চল্লিশ টাকা সেই আদা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে চারশত টাকায়। অপরদিকে গত সপ্তাহে বাজারে যে লেবু বিষ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়েছে সেই লেবুও এখন ষাট টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। করোনায় বাজারে লেবুর চাহিদা বেশী থাকায় ক্রেতারা তার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করেন। শুক্রবার আমতলী উপজেলার পৌরশহরসহ তালুকদারবাজার, আমড়াগাছিয়া, কুকুয়াহাট, গুলিশাখালী, কলাগাছিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসকল বাজারের অধিকাংশ দোকানে আদা নেই। দু’একটি দোকানে আদা থাকলেও তা চারশত টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে এবং এক হালি লেবু বিক্রি করছে ষাট টাকা দরে। ক্রেতা গৃহীনি শাকিলা পারভীন বলেন, এক হালি লেবু ক্রয় করেছি ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল বিষ টাকা। শিক্ষক মাহবুবুল আলম বলেন, করোনার কারনে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারনে বাজারে চারশত টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি হচ্ছে। আমি আধা কেজি আদা ক্রয় করেছি দুইশত টাকায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, বাজারে আমাদের মত ছোট ছোট বিক্রেতারদের আসলে কিছুই করার থাকেনা। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে বিভিন্ন পন্যের দাম বাড়িয়ে তা আমাদের কিনতে বাধ্য করে। এ কারনে বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রেতা ফেরদৌস রহমান টিটু বলেন, আমতলীতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে আদার কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, যারা সিন্ডিকেট ও কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরী করে বাজারে আদা ও লেবুর দাম বাড়িয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT