2:25 pm , May 1, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে হত্যার পর মজা পকুরের কুচুরিপানার নীচে মরদেহ লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। নিহত হামিম কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছালাম কবিরাজের ছেলে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের পাশাপাশি জাকিয়া নামে এ গৃহবধুকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বিষয়টি শুক্রবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম। তিনি জনান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে নিহতের চাচা বশার ও ফুফু শিউলি জানান, বৃহষ্পতিবার বেলা ১টার পর থেকে তাদের ভাইয়ের ছেলে হামিমের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে তার খোঁজে আশপাশের বেশ কয়েকটি পুকুর ও নদীতেও অনুসন্ধান চালানো হয়। না পেয়ে হামিমের খেলার সাথি পার্শবর্তী বাড়ির এনায়েত ও জাকিয়া দম্পতির ৪ বছরের ছেলেকে জিজ্ঞাসা করা হয়। সে আদো আদো কন্ঠে জানায়, হামিমকে তার মা জাকিয়া মারধর করে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে চুবিয়ে অন্য একটি মজা পুকুরের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রেখেছে। ওই শিশুর দেয়া তথ্যানুযায়ী সেই পুকুরে সন্ধান চালিয়ে বিকেলে সাড়ে ৩ বছরের হামিমের মরদেহ কচুরিপানার নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে, তারা ঘটনাস্থলে এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং জাকিয়াকে আটক করে নিয়ে যায়। নিহত হামিমের ফুফু শিউলি জানান, জাকিয়ার ছেলে তার ছোট ভাই ছালামের সন্তানের সাথে খেলা করতে বাড়িতে প্রায়ই আসে। এজন্য জাকিয়া রাগারাগিও করে। পরে গতপরশু ছোট ভাই জাকিয়ার ছেলেকে বাড়িতে না আসার জন্য বলেন। এরপরই এ ঘটনা ঘটে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান, এ ঘটনায় নিহতের দাদা আলতাফ কবিরাজ বাদী হয়ে জাকিয়াকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলাকে জাকিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।