2:07 pm , April 30, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দুই দিন অতিবাহিত হলেও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এমএ আজাদ সজলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্যের কূলকিনারা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে ময়নাতদন্ত শেষে বিভিন্ন আলামত ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরেও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল নগরের কালীবাড়ি রোডের মমতা স্পেশালাইজড হসপিটালে পুনরায় তদন্ত করেছেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, গঠিত একটি বোর্ডের মাধ্যমে ডা. সজলের পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। পোস্টমর্টেমের বিভিন্ন আলামত ও ভিসেরা রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য ঢাকার প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষা অফিসে এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের হিস্তোপ্যাথলোজী বিভাগে পাঠনো হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। অপরদিকে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, এই হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এমনকি হাসপাতালে বেশ কিছু কর্মীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। ডা. এমএ আজাদ সজলের পরিবার ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি চাকরির কারণে বরিশালের মমতা হসপিটালের সপ্তম তলার ৮ নং কক্ষে থাকতেন। মঙ্গলবার সেহেরীর সময় তার স্ত্রী কহিনুর বেগম মোবাইলে কল করার মাধ্যমে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এসময় তার ফোন রিসিভ না হওয়ায় বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন তিনি। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে খুঁজে না পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশকে জানায়। পুলিশ তার কক্ষের দরজা ভেঙেও তাকে খুঁজে পায়নি। পরে হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।