2:27 pm , April 27, 2020
উজিরপুর প্রতিবেদক ॥ যে গ্রামটিতে শতভাগ বসবাসকারী মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের সে কারনে ওই গ্রামে নেই কোন মসজিদ শোনা যায় না আজানের শব্দ। বরিশালের উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের সেই পিরেরপাড় গ্রামটিতে প্রথম কোন ব্যাক্তির প্রকাশ্যে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় পিরোর পাড় এলাকায় করোনা রোগের উপসর্গ নিয়ে মরে রাস্তায় পরে থাকা মানসিক ভারসম্যহীন ইদ্রিস জমাদ্দার নামক ওই ব্যাক্তি’র জানাজা শেষে দাফনও করা হয়েছে ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক দিনমজুর সুসান্ত হালদারের বাড়ির অদুরে তার জমিতে। লাশটি দাফনে জমির মালিক সম্মতি দেয়ার পর কবর তৈরী করেন উজিরপুর থেকে আসা করোনা সেচ্ছাসেবক ৭ কর্মীরা। বিগত কয়েক শত বছরের প্রথা ভেঙ্গে কোন মুসলিম ব্যাক্তির দাফন করা হলো ওই গ্রামটিতে। উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসানের নিজের পকেটের ৩ হাজার টাকা ব্যায়ে লাশটি দাফনের কাপড় সহ নানা সামগ্রী ক্রয় করে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনতি বিস্বাস ও উজিরপুর থানার উপ- পরিদর্শক একে মানিকের মধ্যস্থতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দিনমজুর ব্যাক্তিটি তার জমিতে ভিন্ন জাতের ব্যাক্তিকে দাফনের অনুমতি দিয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বরিশাল জেলা পরিষদ সদস্য ও জল্লার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উর্মিলা বাড়ৈ জানিয়েছেন, জল্লা ইউনিয়নের ৯৫ ভাগ মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের। পিরেরপাড় গ্রামটিতে শতভাগ মানুষ হিন্দু সম্পদায়ের হওয়ার কারনে ওই এলাকায় কোন দিন কোন ব্যাক্তির জানাজা নামাজ বা দাফন হয়নি এটাই প্রথম হলো। এদিকে উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানিয়েছেন, জল্লার পিরেরপাড় গ্রামে তাদের দাফন করা ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে সে গৌরনদী উপজেলার কুরিরচর গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস জমাদ্দার (৬৫) তার পরিবার জানিয়েছেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মানসিক সম্যসার কারনে বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মরদেহর ছবিটি দেখে তারা সানক্ত করতে পেরেছেন ততক্ষনে তার দাফন সম্পন্ন হয়ে গেছে। তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশ ও দাফনে জমি দেয় ভিন্ন ধর্মল্বভি সুসান্ত হালদারকে মহৎ কাজটি করার জন্য।