2:33 pm , April 26, 2020
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীর নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হাসনাত জাপানের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৪(ক) ধারা মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না কেন তা পত্র প্রাপ্তির ৩দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস। জানাগেছে, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হাসনাত জাপান জেলেদের (ভিজিএফ)এর চাল বিতরনে অনিয়ম, চাল আত্মসাত করা ও কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে স্থানীয় জেলেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করলে অভিযোগের ভীত্তিতে উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হলে তিনি তদন্ত রিপোর্ট দায়ের করলে তার আলোকে এ কারন দর্শানোর নোটিশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত জাপান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস জানান, নাজিরপুর ইউনিয়নে ৩১০জন জেলের ফেব্রুয়ারী মাসে ১২.৪ মেঃটন চালের বিপরীতে ৪০৪বস্তা (৩ কেজি বস্তা) উত্তোলন করে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান। জেলেদের ৫৫৮বস্তা (৩ কেজি) অর্থাৎ ১৬.৭ মেঃটন চাল বিতরন করেন বলে জানান চেয়ারম্যান। এই অতিরিক্ত ১৫৪বস্তা অর্থাৎ ৪.৬ মেঃটন চাল এর উৎস কি। তদন্ত রিপোর্টে জেলে প্রতিনিধিরা জানান চেয়ারম্যান আবু হাসনাত জাপান তাদের ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের চাল বুঝিয়ে দিয়ে তাদের কাছ থেকে দুই মাসের স্বাক্ষর রেখেছেন। জেলেরা প্রত্যেকে ২৮ কেজি করে চাল পেয়েছে এবং জেলেদের কাছ থেকে পরিবহন খরচ বাবদ ২৭৯০০ টাকা নেয়া হয়েছে। অপরদিকে জেলেদের চাল দেওয়ার বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার জানেন না।