4:03 pm , April 25, 2020
ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ বিএমএসএফ সম্পাদক জাফর বলেছেন, যদি ভুল না হয় তবে কচুপাতায় পানি আর কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকের একই দশা বললে বেশি হবেনা। প্রতিনিয়ত সাংবাদিক-কর্মচারী চাকরিচ্যুতের ঘটনা দেশের মিডিয়াঙ্গনে ডালভাতের মত। মিডিয়াঙ্গনে মানবিকতার যেন বালাই নেই। সম্পাদকীয় দপ্তরে থাকা ইটপাথরে গড়া মানুষগুলো সাংবাদিক-প্রতিনিধি ও কর্মচারীদের ওপর ষ্টীমরোলার চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার প্রমান গত ২৩ এপ্রিল আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার ২১ সাংবাদিক-কর্মচারীকে তাৎক্ষণিক নোটিশে ছাটাই। চলমান করোনাকালে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা কোথাও কোন প্রতিষ্ঠানে কোন কর্মচারী ছাটাই করা যাবেনা। এদিকে তথ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে ডিএফপি থেকে পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে পত্রিকার মালিক-সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা মহামারী করোনায় কষ্ট না পান। সেখানেই আহছানিয়া মিশন পরিচালিত পত্রিকা আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকাটি ২/৩ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে ২১জনকে চাকরীচ্যুত করে। একদিকে করোনা, মাহে রমযান পরবর্তী ঈদ। এই মূহুর্তে আরেকটি খবর হলো জিটিভির হেড অব প্রডাকশন হাসিবুর রেজা কল্লোল, প্রডিউসার রাশেদ, প্রডিউসার জিয়া এবং নিউজরুমের দুইজন, বাকিরা ক্যামেরাপার্সনকে চলমান রমযানের মধ্যে চাকরিচ্যুত করলেন মালিকপক্ষ। তবে কী কারনে চাকরিচ্যুত করা হলো তা জানা যায়নি। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে যেকোন মূহুর্তেই সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা যায়। যে পেশাটি কেবল মানুষের অধিকার ও মানবিকতার জন্য লড়াই করে। কিন্তু নিজ ঘরেই তারা নির্যাতিত। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগী আইন প্রণয়নসহ ১৪ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পেটের ক্ষুধা নিভৃত হয়ে পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। আগামি ১-৭ মে ৪র্থ বারের মত বিএমএসএফ’র উদ্যোগে নিজস্ব গন্ডিতে উদযাপিত হবে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ ২০২০। বিগত ৩ বছর ধরে বিএমএসএফ’র ডাকে দেশব্যাপী জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহটি উদযাপিত হয়ে আসছে।