2:33 pm , April 24, 2020
নিরাপরাধকে আসামী করায় এলাকায় ক্ষোভ
বানারীপাড়া প্রতিবেদক ॥ বানারীপাড়া উপজেলার নলশ্রী গ্রামের কাওসার হত্যা মামলায় নিরাপরাধ ব্যাক্তিকে ষড়যন্ত্র মুলক আসামী করায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ২০ এপ্রিল সোমবার রাতে নিহত কাওসারের মা রওশন আরা বেগম বাদী হয়ে ০৭ জনকে আসামী করে ওই হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৩ নং আসামী পল্লি চিকিৎসক মোঃ নজরুল ইসলাম রাড়ীর নাম দেয়া হলে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, মামলার ৩ নং আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম রাড়ীর এ হত্যার ঘটনায় কোন সম্পৃক্ততা নেই। ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে অতি উৎসাহীরা তার নামকে সামনে নিয়ে আসে। মামলার বাদী নিহত’র মা রওশন আরা বেগম জানান, আমার ছেলেকে মারার সময় নজরুলকে দেখি নাই এবং তাকে আমি আসামীও করি নাই। কি ভাবে তার নাম আসলো আমি জানিনা। তিনি বলেন, আমি মামলায় কাঞ্চন হাওলাদার (৪৫), শিফাতউল্লাহ (২৫), শুক্কুর (৫০), বেল্লাল (২৮), রমজান (২২) ও জহিরুল (৩২) সহ ৫/৬ জন অঙ্গাতনামাকে আসামী করি। আমার ছেলে মারা গেছে তাকেতো আর পাব না। আমি চাইনা কোন নির্দোশ ব্যক্তি শাস্তি পাক। এ ঘটনার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতা আছে। এলাকাবাসীরা বলেন কাওসারদের সাথে পূর্ব শত্রুতাতো আছেই সে সাথে মাদকের বিষয়টি রয়েছে। এদিকে মূল আসামীরা ধরা না পরলেও নজরুল ইসলামকে ২০ এপ্রিল গ্রেফতার করে র্যাব। উল্লেখ্য ১১ এপ্রিল রোববার ভোর রাত ৪টার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে করপাড়া গ্রামের ওই আসামীরা পার্শ্ববর্তী নলশ্রী গ্রামে গিয়ে কাওসারকে ধরে এনে বেদম মারধর করে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা তাকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করায় তাকে চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ হয়। রোববার ১৯ এপ্রিল তার অবস্থার অবনতি ঘটলে স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ২০ এপ্রিল সোমবার ভোর রাত ৪টায় তার মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে কাওসারের লাশ এলাকায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল জানান, মোঃ নজরুল ইসলাম যদি নিরাপরাধ হয় তবে অদালত থেকে বাদী তাকে ছাড়িয়ে আনতে পারেন। এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মোঃ জাফর আহম্মেদ জানান, মামলার তদন্ত চলছে তাই কোন মন্তব্য করা যাবেনা।