2:15 pm , April 24, 2020
বাবুগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান বহিস্কার
বাবুগঞ্জ প্রতিবেদক ॥ সরকারী ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূরে আলম বেপারীকে বহিস্কার করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটের সময় জাটকা নিধনে বিরত থাকা জেলেদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাতপূর্বক কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বিধিবহির্ভূতভাবে নিজ বাড়িতে মজুদ রাখার দায়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(৪) ধারা অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেন। ২৩ এপ্রিল বর্নিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ২নং কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ)আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে। একইসময় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশে কেন তাকে চূড়ান্তভাবে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন এবং এ বিষয়ে মন্ত্রনালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলমের বহিস্কারের সংবাদের তার নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলেদের নামে বরাদ্ধকৃত চাল আতœসাত, ভিজিডি, কর্মসৃজনসহ সরকারের ত্রাণসহায়তার চাল প্রতিবারই নিজে আতœসাত করে কালো বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। এছাড়াও বছরের পর বছর বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদনদীতে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন করে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন তিনি। সাধারণ মানুষের আবাদী জমি জোরপূর্বক দখল করে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন বিহীন নির্মান করেছেন অবৈধ্য ইটভাটা। এ কারনে স্থায়ীভাবে তাকে বহিস্কার করে সরকারের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার দাবী স্থানীয়দের। প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়ি থেকে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের ১৮৩ বস্তা চাল উদ্ধার করেন র্যাব-৮ এর সদস্যরা। এ ঘটনায় কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলমের বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।