বলেশ্বর নদে জেলেদের মাঝে সংঘর্ষের শংকা বলেশ্বর নদে জেলেদের মাঝে সংঘর্ষের শংকা - ajkerparibartan.com
বলেশ্বর নদে জেলেদের মাঝে সংঘর্ষের শংকা

1:38 pm , April 23, 2020

মঠবাড়িয়া প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালী ইউনিয়নের বলেশ্বর নদের তুলাতলা ঘাট এলাকায় শাহজাহান হাওলাদার নামের এক অসহায় জেলের বাঁধা জাল পাতারস্থান অবৈধভাবে প্রতিপক্ষরা দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী জেলে শাহজাহান হাওলাদার এর প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সম্প্রতি মঠবাড়িয়া থানার ওসি বরাবরে প্রতিপক্ষ সাইলু, জাকির হোসেন ও সাইলুর ছেলে রাজুসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার জানখালী গ্রামের জেলে শাহজাহান হাওলাদার প্রায় ১৫ বছর ধরে বলেশ্বর নদের তুলাতলা ঘাটে তার ক্রয়কৃত স্থানে জাল পেতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। কিন্তু দুই বছর ধরে অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের সহযোগিতায় প্রতিপক্ষ একই গ্রামের হালিম হাওলাদারের ছেলে সাইলু, মৃত সামছের হাওলাদারের ছেলে জাকির হোসেন, সাইলুর ছেলে রাজুসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন ঘাটটি দখল করে নেয়। এঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য সগীর হাওলাদারের নেতৃত্বে জেলেদের নিয়ে বৈঠক বসলেও জেলে শাহজাহান হাওলাদারের ক্রয়কৃত জাল পাতারস্থান তিনি উদ্ধার করে দেননি। গত ১৬ এপ্রিল জেলে শাহজাহান হাওলাদার তার ক্রয়কৃত ঘাটে জালের খেও দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকে খুন জখমের ভয়ভীতি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এনিয়ে বলেশ্বর নদ এলাকায় পেশাদার জেলেদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে জাকির হোসেন (আড়ৎদার) এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রিপন বিশ্বাস জানান, এ বিষয় একখানা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। জেলেদের কাছে মাছ ধরার খেও ক্রয়-বিক্রি করা সম্পূর্ণ বেআইনী। নদী এবং নদীর পানি এগুলো সরকারি সম্পত্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT