2:24 pm , April 22, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনার কারনে বেশির ভাগ সরকারী অফিসগুলো বন্ধ রয়েছে। সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। এরইমধ্যে সরকার গৃহবন্ধী মানুষকে সাহায্য প্রদানের জন্য কাজ শুরু করেছেন। সরকারের সাহায্য সহযোগিতা তৃনমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। তালিকা প্রস্তুত থেকে শুরু করে নানাবিদ কার্যক্রম চালু রেখেছে ইউনিয়ন পরিষদগুলো। ফলে করোনা আতংকের মধ্যেও হোম কোয়ারেইনন্টানকে উপেক্ষা করে মানবতার ডাকে সারাদিয়ে সরকারী ও বেসরকারী ত্রানের তালিকাসহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কর্মকান্ড জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্পন্ন করে চলেছেন বিনা বেতনের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা।
ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরামের বরিশালের সম্বনয়ক সাইফুল ইসলাম সাজিদ জানান, বরিশালে করোনা প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনায় ডিজিটাল সেন্টারের পরিচালকরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক মাহাতাব আলী জানান, করোনার কারনে সারাদেশের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় তৃনমূল পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় গণপরিবহন ও ছোট ছোট যানবাহন না চলায় অনেক ইউপি সচিবরাই ইউপিতে সঠিক সময়ে আসতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউডিসিতে বসে দিনরাত পরিশ্রম করে ত্রাণের তালিকাসহ নানাবিদ কার্যক্রম চালু রেখেছেন দীর্ঘবছর বিনা বেতনে কাজ করে আসা ইউডিসি পরিচালকরা। তিনি আরও জানান, দীর্ঘ দশ বছর যাবত ইউনিয়ন পরিষদে বিনা বেতনে পরিষদের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রমসহ রাষ্ট্রের এই দুঃসময়ে ইউডিসি পরিচালকরা এগিয়ে আসলেও ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী পদে কিছু জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমনকি উচ্চ আদালত থেকে রীটকারী পরিচালকদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হলেও আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা। অথচ ইউডিসি পরিচালকরা নিজেদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরিচালকরা কাজ করলেও তাদের প্রতি কারো নজর নেই। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপণ করছেন অধিকাংশ ইউডিসি’র অস্বচ্ছল পরিচালকরা। চলমান দূর্যোগকালীণ সময় পরিবার পরিজন নিয়ে চলার জন্য নুন্যতম সম্মানী ভাতা ও করোনার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা ডিজিটাল সেন্টারের কোন পরিচালক আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে পরিবারের জন্য এককালীন অনুদানের দাবীসহ করোনা প্রকোপ কমে গেলে ইউডিসি পরিচালকদের কাজের মূল্যায়ন করে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে রীটকারীদের নিয়োগ দেয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী করেন।
একাধিক ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, অনেক সময় পরিষদে সচিবরা না থাকলেও ইউডিসির দক্ষ উদ্যোক্তাদের দিয়ে পরিষদের কাজগুলো করা হয়ে থাকে। পূর্ব থেকে কাজ করা দক্ষ উদ্যোক্তাদের ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলে পরিষদের কাজে আরও গতিশীলতা আসবে।