সিন্ডিকেটের কবলে সদর হাসপাতালের জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করন মেশিন সিন্ডিকেটের কবলে সদর হাসপাতালের জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করন মেশিন - ajkerparibartan.com
সিন্ডিকেটের কবলে সদর হাসপাতালের জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করন মেশিন

1:00 am , February 9, 2020

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অর্ধ মাস অতিক্রম হয়েছে বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করন মেশিন। কিন্তু এই ১৫ দিনে এক জন রোগীরও আসেনি পরীক্ষা করার জন্য। ফলে মেশিনটি স্থাপন ছাড়া রোগী দ্বারা পরীক্ষার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে মানুষ এখনো বিষয়টি জানতে পারেনি। তাছাড়া এ সব রোগীর সংখ্যাও তুলনামূলক কম থাকে। স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট ও সচেতন মহলের দাবী প্রচারনার অভাবে মানুষ জানতেই পারছে না যে এমন একটি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। তবে অন্য একটি সুত্রের দাবী কোন একটি মহল থেকে প্রভাবিত হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই মেশিন ও পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়ে প্রচারনা করছে না। রোগী না এলে দীর্ঘ দিন এমন অবস্থায় থাকলে মেশিনটি এমনিতেই বিকল বা অকোজো হয়ে যাবে। আর তখন সুবিধা নিতে পারবে ওই স্বার্থান্বেষী মহলটি।
তথ্য মতে গত ২২ জানুয়ারী বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে প্রথম বারের মত স্থাপন করা হয় জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করন মেশিন কল্পোসকপি। এই মেশিন দ্বারা জরায়ু মুখের ক্যান্সার এবং ব্রেস্ট টিউমারের পূর্ব অবস্থা সনাক্ত করা সম্ভব। শুধু মাত্র ৩০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সকল বিবাহিত নারীরা জরায়ু মুখ ও ব্রেস্ট টিউমার থাকলে বা সম্ভাবনা থাকলে তার পরীক্ষা করাতে পারবেন এই হাসপাতালে। পরীক্ষার জন্য বাড়তি কোন ফি নির্ধারন করা হয়নি। শুধু মাত্র বহিঃ বিভাগ থেকে টিকিট সংগ্রহ করেই এ চিকিৎসা সেবা গ্রহন করা সম্ভব হবে। মেশিণটি স্থাপনের পর সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিলো মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যয় বহুল এ পরীক্ষা ও চিকিৎসা করার সুযোগ তৈরী হওয়ায় ব্যাপক সাড়া মিলবে নগরীর রোগীদের। কিন্তু ব্যাপক সাড়া তো দূরের কথা এখনো দেখা মেলেনি মেশিনটি চালু করার একজন মাত্র রোগীর। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ও নগরীর সচেতন নাগরিক সমাজের দাবী নগরীতে এসব রোগের রোগী নেই এটা বলার কোন যৌক্তিকতা নেই। এটা অবশ্যই কর্তৃপক্ষের প্রচারনার অভাব অথবা রয়েছে অন্য কোন নেপথ্য কারন। ঘটনা যাই হোক রোগীদের এ তথ্য জানাতে ও রোগীদের সেবা নেয়ার ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে।
অপর একটি সুত্র জানিয়েছে বিগত সময়ে নগরীতে সরকারী কোন হাসপাতালে এ মেশিনটি ছিলো না ফলে বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার এসব পরীক্ষা নিরীক্ষা করতো রোগীরা। অনেক চিকিৎসক এসব বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ। সরকারী হাসপাতালে এ পরীক্ষা করা হলে তাদের বড় একটা অংশের আয়ের উৎস নষ্ট হবে। হতে পারে তাদের সাথে আতাত করে এই পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রচার প্রচারনার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালণ করছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্বাবোধায়ক বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, বিগত সময়ে এই হাসপাতালে মেশিনটি ছিলো না। তাছাড়া সদর হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। তাই হয়ত এ বিষয়ে জানতে একটু সময় লাগছে। তিনি বলেন এখানে কোন সিন্ডিকেট কাজ করছে না। আমরা আরো ব্যাপক ভাবে প্রচার প্রচারনার উদ্যোগ গ্রহন করবো। উল্লেখ্য সপ্তাহের প্রতি রবিবার হাসপাতালের ঠওঅ ্ ঈইঊ সেন্টারে প্রতি কর্মদিবসে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ সেবা পাওয়া পাবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT