2:22 pm , January 26, 2020

বাবুল দাস, বরগুনা ॥ আমতলীতে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী মালাকে সাত টুকরা করে হত্যা মামলার রায়ে আসামী প্রভাষক মইনুল আহসান পলাশকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছ। এছাড়াও মামলার অপর আসামী আইনজীবীকে যাবজ্জীবন এবং সহযোগিকে সাত বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বরগুনার নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার এক আসামীকে খালাস দেয়া হয়েছে। ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত প্রভাষক পলাশ মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসন্ডা গ্রামের মৃত আ. লতিফ হাওলাদারের ছেলে। যাবজ্জীবন দন্ডিত আইনজীবী হলো বিপ্লব তালুকদার প্রভাষক পলাশের ভাগ্নির স্বামী ও সাত বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত রিয়াজ এ্যাড পলাশের সহকারী। খালাস পেয়েছে আইনজীবী বিপ্লব’র স্ত্রী ইভা রহমান। ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত প্রভাষক ছিল নির্মম হত্যার শিকার কলেজ ছাত্রী মালার মামাতো বোনের স্বামী। বিপ্লব তালুকদার ও তার স্ত্রী ইভা রহমান এবং রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের আব্দুল মন্নান খানের মেয়ে এবং কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের একাদশ ¤্রিেণর ছাত্রী মালার সঙ্গে বরগুনার ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন পলাশের প্রেমের স¤পর্ক ছিল। সাত বছর আগে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে মালার পরিচয় হয় পলাশের সঙ্গে। ২২ অক্টোবর মালাকে নিয়ে পলাশ তার ভাগ্নিজামাই আমতলীর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মো. মাঈনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারের বাসায় বেড়াতে আসেন। ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিপ্লবের স্ত্রী তার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যায়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মালাকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পলাশ। পরে লাশ সাত টুকরো করে ড্রামে ভরে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ বিপ্লব তালুকদারের বাসার ড্রাম থেকে নিহত মালার টুকরো টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক পলাশকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় ওইদিনই পুলিশ বাদি হয়ে আমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পরের দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন পলাশ। তদন্ত শেষে পুলিশ এ মামলায় পলাশ, বিপ্লব, রিয়াজ ও বিপ্লবের স্ত্রী ইভা রহমানকে আসামী করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে রবিবার আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।