বাকেরগঞ্জে চলছে ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটা সূর্যা বাকেরগঞ্জে চলছে ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটা সূর্যা - ajkerparibartan.com
বাকেরগঞ্জে চলছে ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটা সূর্যা

2:16 pm , January 26, 2020

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কৃষি জমি, ঘন বসতি এমনকি কাছাকাছি রয়েছে স্কুল কলেজ। তারপরও বেআইনী ভাবে তৈরী করা হয়েছিলো ইটভাটা। সম্প্রতি পরিবেশ অধিদপ্তর বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনয়নে অবস্থিত সূর্যা নামক ওই ইটভাটাটির ছাড়পত্র বাতিল করেছে। কিন্তু তারপরও আইনকে তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ইট তৈরী ও পোড়ানো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ভাটা মালিক। স্থানীয়দের অভিযোগ বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের মদদ ও ছত্রছায়া থাকার কারনে ভাটা মালিক এমনটা করছে। তাই ভাটাটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী গত ২৫ জানুয়ারী পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে জামাল মিঞা এ অভিযোগটি দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ১৪৫ নং হানুয়া এলাকায় আলী হোসেন সূর্যা নামের ওই ইটভাটা করেন। শুরু থেকেই স্থানীয়রা এই ভাটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে লিখিত অভিযোগ ও আপত্তি দেয়। কারন এই ভাটার চারপাশে রয়েছে দ্বো ফসলী কৃষি জমি, ঘন বসতি, স্কুল কলেজ সহ নানা প্রতিষ্ঠান। কিন্ত তারপরও প্রভাব খাটিয়ে মালিক শেষ পর্যন্ত ভাটাটি তৈরী করাসহ এর কার্যক্রম শুরু করেন। গত বছরের জুলাই মাসে এই ভাটার ছাড়পত্র প্রদান করে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তর। এরপর ব্যাপক ভাবে ফুসে উঠেন এলাকাবাসী। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রনালয় সহ ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয় থেকে একাধিকবার ওই ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি প্রদান করা হয়। শেষ পর্যন্ত গত ১৪ জানুয়ারী ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আগামী ৪ কার্য দিবসের মধ্যে সূর্যা ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক সদর দপ্তরকে অবহিত করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি প্রদান করে। বিস্ময়কর ভাবে ওই দিনই বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আবদুল হালিম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ইট ভাটাটির অবস্থানগত ছাড়পত্র বাতিল করা হয়। কিন্তু এলাকাবাসী জানায় ছাড়পত্র বাতিল করা হলেও এখনো চলছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম। তাদের অভিযোগ পরিচালক হালিমের সাথে ইটভাটা মালিকের গোপন আতাত রয়েছে। ছাড়পত্র বাতিল করাটা হচ্ছে আইওয়াস। কারন গত কয়েক দিন আগে পরিচালক যখন সরেজমিনে ভাটা পরিদর্শন করেন তখন আমরা দাবী করেছিলাম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভাটাটি বন্ধ করে দেবার জন্য। কিন্তু তিনি বলেছেন এখানে আমার কিছু করার নেই। জানতে চাইলে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল হালিম বলেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা আমার কাজ নয়। আমার দপ্তরের যা করনীয় তাই করেছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এখন ভাটার কার্যক্রম চলছে না। তিনি বিরক্ত প্রকাশ করে বলেন স্থাণীয় একটি মহল এসব করছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT