শেবামেকের বিতর্কিত রিয়াজের মিশন ফরেনসিক বিভাগ শেবামেকের বিতর্কিত রিয়াজের মিশন ফরেনসিক বিভাগ - ajkerparibartan.com
শেবামেকের বিতর্কিত রিয়াজের মিশন ফরেনসিক বিভাগ

2:47 pm , January 14, 2020

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) এর বহুল বিতর্কিত অফিস সহায়ক রিয়াজ হাওলাদারের মিশন এখন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ। কঙ্কাল চুরি ও অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে বিতারিত রিয়াজ ওই বিভাগেই ঘাটি করার লক্ষ্য নিয়েছেন। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন কলেজের দুর্নীতিবাজ হিসাব রক্ষক এটিএম দুলাল। ফলে বিষয়টি নিয়ে কলেজের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও অনিয়ম এবং দুর্নীতিতে আলোচিত রিয়াজকে কোন ক্রমেই ফরেনসিক বিভাগে পদায়ন দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ মাকসুমুল হক।
জানাগেছে, ‘বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের তৎকালিন অধ্যক্ষ ডা. আবরার আহমেদ এর মাধ্যমে সরকারি চাকুরিতে নিয়োগ পায় রিয়াজ হাওলাদার। ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে বয়স কমিটিয়ে অবৈধভাবে চাকুরি পাওয়া রিয়াজ শুরু থেকেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানাগেছে, ‘রিয়াজ হোসেন ইতিপূর্বে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অফিস সহায়ক এর দায়িত্বে ছিলেন। ওই বিভাগকে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং ঘুষ বানিজ্যের আতুড় ঘরে পরিনত করেন তিনি। ফরেনসিক বিভাগে ভিকটিমসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্যতা তৈরী করি হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। ফরেনসিক বিভাগের তৎকালিন বিভাগীয় প্রধান ডা. আক্তারুজ্জামানের আস্থাভাজন হয়ে এসব অপকর্ম করেন তিনি।
এদিকে মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ভাস্কর সাহার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগও রয়েছে রিয়াজের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে নিজের মেয়েকে সদর গাল্স স্কুলে ভর্তির চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে তৎকালিন সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে রিয়াজকে ফরেনসিক বিভাগ থেকে সরিয়ে ছাত্র হোস্টেলে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিছু দিন যেতেই সেখান থেকে কৌশলে মাইক্রোবায়োলজী বিভাগে বদলী হয়ে যান রিয়াজ। কিন্তু সেখানেও বেশি দিন স্থায়ী হননি তিনি। অপর্ক করে ধরে পড়ায় বিভাগীয় প্রধানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিভাগ থেকে সরিয়ে নেয়া হয় তাকে। বর্তমানে তিনি প্রশাসনিক বিভাগে রয়েছে। সেখান থেকে পুনরায় ফরেনসিক বিভাগে বদলীর মিশনে নেমেছেন রিয়াজ। আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন হিসাব রক্ষক এটিএম দুলাল।
মেডিকেল কলেজের একাধিক সূত্র জানায়, ‘রিয়াজ এতোটাই চতুর এবং দুর্নীতিবাজ যে কোন বিভাগের প্রধানই তাকে গ্রহন করতে রাজি নন। কেননা ইতিপূর্বে সে কলেজের কঙ্কাল চুরির মতো কাজও করেছেন। যে কারনে নতুন করে তার ফরেনসিক বিভাগে বদলির মিশন সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ফরেনসিক বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও তাকে গ্রহন করতে নারাজ।
এ বিষয়ে জানতে মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ মাকসুমুল হক টুলু’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রিয়াজের বিরুদ্ধে পূর্বে থেকেই অনেক অভিযোগ রয়েছে। যে কারনে তাকে ফরেনসিক বিভাগের বদলির যে কথা উঠেছে সেঠা সঠিক নয়। কেননা তাকে কোন মতেই গুরুত্বপূর্ণ ওই বিভাগে বদলি করা হবে না।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT