3:22 pm , October 24, 2019
পাথরঘাটা প্রতিবেদক ॥ পাথরঘাটা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সেতু হত্যা মামলায় প্রধান আসামী পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউল হক ছোট্টকে যাবজ্জীবন ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাকী তিন আসামীকে খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে বরগুনা নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। মামলার আসামীরা হলো, প্রধান আসামী জিয়াউল হক ছোট্টর স্ত্রী নাহিদ সুলতানা লাকি, আবদুল্লাহ আল মামুন কাজী ও আনিচুর রহমান রেজবি খান। তাদের সকলের বাড়ি পাথরঘাটা পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৯ জুন আসামীরা পাথরঘাটা কলেজের ২০১২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী কামরুন্নাহার সেতুকে (১৭) নিমর্ম ভাবে নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত করে বিষ খাইয়ে হত্যা করে আসামীরা। পরদিন ৩০ জুন সেতুর বড় ভাই নজরুল ইসলাম রিপন বাদি হয়ে মামলা করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে চাঞ্চল্যকর সেতু হত্যা রায় দেয়া হয়। আসামীর পক্ষের কৌশলী ছিলেন অ্যাড. কমল কান্তি রায় ও সরকার পক্ষে পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৯ জুন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভা সংলগ্ন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউল হক ছোট্টর বাসায় পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজের ২০১২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কামরুন্নাহার সেতু (১৭) স্ত্রীর অধিকার পাওয়ার জন্য সেখানে যায়। সেই স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় জিয়াউল হক ছোট্ট ও তার স্ত্রী নাহিদ সুলতানা লাকীসহ ৪ থেকে ৫ জন মিলে জোর পুর্বক বিষ খাইয়ে দিয়ে ঘর থেকে নামিয়ে দেয়। ওই সময় সেতু তার মা হোসনেয়ারা পাখিকে মোবাইলে বলেছে ছোট্টসহ ৪ থেকে ৫ জনে তাকে বিষ খাইয়ে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়ার কথা বলেছে। এ সময় সেতুর কান্নাকাটি শুনে স্থানীয় লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত দুটার দিকে সেতুর মৃত্যু হয়।
খালাশ প্রাপ্ত আসামী আবদুল্লাহ আল মামুন ও রেজবি খান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাদেরকে অহেতুক মামলায় জড়ানো হয়েছিল। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
আসামীর পক্ষের কৌশলী অ্যাড. কমল কান্তি রায় জানান, ৪ জন আসামীর মধ্যে ৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন অন্য আসামী উপস্থিত ছিলো না। আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে, তবে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য যাব।