2:56 pm , October 17, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পরিবার কল্যাণ সহকারীদের ২০১৭ সালের গ্রেডিং সিস্টেমের ১৭ তম গ্রেডে (চতুর্থ শ্রেণি মর্যাদা) রেখে পরিপত্র জারির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ সহকারী সমিতি বরিশাল সদর উপজেলা কমিটির উদ্যোগে নগরীর সদর রোডস্থ অশি^নী কুমার হলের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি তাসলিমা বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাকিয়া বেগম, সুফিয়া বেগম, রোকেয়া বেগম, বিথী, বর্ণা, ফারজানা, সোনিয়া, রিতু, সুমা, মাধবী সুমা, খাদিজা, আছমা, মাধুবী প্রমুখ।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ৩৫০ জন পরিবার কল্যান সহকারীদের ২০১৭ সালের গ্রেডিং সিস্টেমের ১৭ তম গ্রেডে রেখে অধিদপ্তর থেকে বারবার পরিপত্র জারির মাধ্যমে চুর্থ শ্রেণি উল্লেখ করে চরমভাবে হেয় করা হচ্ছে।
পরিবার কল্যাণ সহকারী যাদের কাজের অগ্রগতি এবং রিপোর্টের উপর পুরো পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কার্যক্রম নির্ভর করে। গত ৫ বছর ধরে যে মেয়েগুলো যোগদান করেছে তারা সবাই অনার্স কিংবা মাস্টার্স সম্পন্ন। তারা নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবার কল্যাণ সহকারীরা যখন উন্নতীর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ঠিক তখনই তাদের চতুর্থ শ্রেণী উল্লেখ করে পরিপত্র জারি হয়।
বক্তারা বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে তখন পরিবার কল্যাণ সহকারীরা অবনতির দুয়ারে হাজির। অথচ এদের কাধে ভর করেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। একজন পরিবার কল্যাণ সহকারীর বাড়ী বাড়ী পরিদর্শনের মাধ্যমে সক্ষম দম্পতির সংখ্যা নির্ধারণ, রেজিস্টার, অন্তর্ভূক্ত করণ, ইউনিটের পদ্ধতি গ্রহণকারী, ত্যাগকারী এবং পদ্ধতি আদৌ গ্রহণ করেনি এমন সক্ষম দম্পতিদের সেবা প্রদান করে।
গর্ভবর্তী মায়েদের স্বাস্থ্য, শিশু ও পুষ্টি, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন, স্যাটেলাইট ক্লিনিকে উপস্থিতিতে সেবা সপ্তাহ পালন, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সরবরাহ, ইপিআই কর্মসূচি, উপজেলায় মাসিক সভা, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, পাক্ষিক সভা, মাসিক সভা, অগ্রীম কর্মসূচি, মাসিক রিপোর্ট প্রদান ছাড়াও স্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যান্য সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করতে হয়।
সরকারি কোন বিভাগে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা এতগুলো দায়িত্ব পালন করেন, যাদের উপর পুরো বিভাগ নির্ভর করে। তাই পরিবার কল্যাণ সহকারীদের অন্ধকার ভবিস্যৎ এবং মর্যাদাহাহিন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে পরিবার কল্যাণ সহকারীদের মুক্তির দাবি জানান বক্তারা।