2:44 pm , October 13, 2019

মোঃ তরিকুল ইসলাম, পিরোজপুর ॥ ভা-ারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ি নূরুজ্জামান সুমন খান (৩৫) ছিলেন নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। নিরাপদ সড়ক দাবির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সেই সড়কেই তার প্রাণ গেল সুমনের। নিরাপদ সড়ক আর তার পাওয়া হল না। গতকাল রোববার ভা-ারিয়া-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের শিল্পপতি এমএ খালেকের পাথরবাড়ির এলাকায় ঢাকাগামী ‘ঈগল’ পরিবহনের বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ব্যবসায়ী নূরুজ্জামান সুমন খান নিহত হন। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে সমর্থন থাকার বিষয়টি জানা যায় সুমনের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। সুমনের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা গেছে, নিরাপদ সড়ক দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলন চলাকালে তাতে তিনি সমর্থন দেন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ওই আন্দোলনে প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি ফেসবুক প্রোফাইলে ছবি দেন। ছবির নিচে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ স্টিকার দেয়া। নিহত সুমন উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের আব্দুল মালেক খান শাহজাহান এর বড় ছেলে এবং শহরের নাভিন টাওয়ারের ‘সাধ’ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি গিফট সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারি। সে এক সন্তানের জনক। এ ঘটনায় নিহতর পরিবারে এখন শোকের মাতোম চলছে।
নিহত ব্যবসায়ি সুমন এর স্ত্রী সাবিহা বেগম জানান, প্রতিদিনের মতোন আজ রবিবার সকালে তার স্বামী হাটতে বের হন। সকাল ৮টার দিকে সড়ক দিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এসময় ভা-ারিয়া ঢাকা গামী ছেড়ে যাওয়া ঈগল পরিবহনের বাস (ঢাকা মেন্ট্রো-ব-১৫-১১-৭৪) তাকে পেছন দিক থেকে চাপা দেয়। এতে সেঘটনা স্থলেই সে নিহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক ওই বাসটি এক অদক্ষ হেলপার চালাচ্ছিলেন। তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, আমার স্বামী সব সময় নিরাপদ সড়কের জন্য দাবি তুলতেন। সেই সড়কেই তার প্রাণ গেল । নিরাপদ সড়ক আর তার পাওয়া হল না।
ভা-ারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এস,এম মাকসুদুর রহমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতাল থেকে নিহত ওই ব্যবসায়ির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে । অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।