3:02 pm , October 2, 2019
কলাপাড়া পতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর যুবলীগ সভাপতি ও কাউন্সিলর জাকির হোসেন জুকুর ইটভাটা নির্মানের জন্য সরকারি জমিসহ ৬৫ একর জমি জবর দখল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ৩৫টি পরিবার। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লব চত্বরে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসার প্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কাশেম, শহীদ আ. মোতালেব হেসেন এর স্ত্রী মোসাঃ মাজেদা বেগম, মো. সোবাহান টেন্ডল, মো. নজরুল ইসলাম এবং মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জমি দখল করে যুবলীগ নেতা যে সকল ইটভাটা নির্মান করেছে সেগুলো হচ্ছে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের টুঙ্গিবাড়িয়ায় ‘পায়রা ব্রিকস’। টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিমরজপাড়া গ্রামে ‘খান ব্রিকস’ এবং এই ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামে ‘দেশ ব্রিকস’। বক্তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকালী শহীদ আব্দুল মোতালেব হোসেনের স্ত্রী মাজেদা বেগম বলেন, আমি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে সরকারি জমি বরাদ্দ পেয়েছি। সেই জমিসহ উপজেলার নীলগঞ্জ ও টিয়াখালী ইউনিয়নের ৩৫ পরিবারের জমি জবর দখল করে জুকু তিনটি ইটভাটা নির্মান করেছে। জমির মূল্য চাইতে গেলে বিভিন্ন ভাবে আমাদের হুমকি প্রদান করে। বর্তমানে জমি হারানো ৩৫টি পরিবার জুকুর সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির মধ্যে আতঙ্কিত অবস্থায় আছেন এবং জুকু বাহিনীর হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এব্যাপারে পৌর যুবলীগ নেতা এবং কলাপাড়া পৌর তিন নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর জাকির হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার জনপ্রিয়তা এবং সাফল্যতায় ঈর্শান্বিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের রাজাকার সোবাহান টেন্ডল একটি হিন্দু পরিবারের নারীকে ধর্ষণ করে। সেই রাজাকারের পুত্র মাইনুল হোসেন স্বেচ্ছা সেবক লীগে অনুপ্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার সুনাম ও মানহানীর জন্য উঠেপরে লেগেছে। তাদের দাবিকৃত জমির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমি তাদের জমি ছেড়ে দিবো।