2:59 pm , October 2, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নগরীতে ব্যাটারি চালিত রিক্সা উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে আমরণ অনশন শুরু করেছে মালিক ও শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার সকাল ১১টা হতে নগরীর অশি^নী কুমার টাউন হল চত্ত্বরে এই অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করে তারা। গতকাল বুধবার রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যহত ছিলো। এসময় বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া ব্যাটারি চালিত রিক্সা উচ্ছেদ বন্ধ করে প্রয়োজনীয় নীতিমালার ভিত্তিতে নগরীতে রিক্সা চলতে দেয়া এবং পুলিশের কাছে জব্দকৃত পায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ব্যাটারি ও মোটর ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানানো হয়।এ দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাটারিচালিত রিক্সা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটি, বরিশাল মহানগর রিক্সা-ভ্যান-শ্রমিক ইউনিয়ন ও সামাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ব্যানারে অনশন কর্মসূচির পক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাসদের বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব ও রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, গণসংহতি আন্দোলন জেলা কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু, মহানগর রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দোজা সৈকত, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের রুস্তম হাওলাদার, ব্যাটারি চালিত রিক্সা মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শাহজাহান মিস্ত্রি প্রমুখ।এদিকে মিছিল পরবর্তী অশি^নী কুমার টাউন চল চত্ত্বরে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে শ্রমিকরা। যেখানে ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীসহ বাম জোটের নেতৃবৃন্দ এবং শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহন করে। দিনভর প্রখর রোদের মধ্যে অনশনের পাশাপাশি দাবি আদায়ে সিটি মেয়র এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন।অপরদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার পর পরই অনশন কর্মসূচিতে শ্রমিক ও তাদের পরিবারের অংশগ্রহন বেড়ে যায়। নগরীর বিভিন্ন স্থান হতে মিছিল সহকারে কর্মসূচিতে যোগদান করেন তারা। তবে অনশন কর্মসূচি চলাকালে রাত ৮টা পর্যন্ত কেউ তাদের দাবী মেনে নেয়ার বিষয়ে এগিয়ে আসেনি।অনশনকালে শ্রমিকরা জানান, গত ১৯ আগস্ট থেকে কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই নগরীতে দফায় দফায় উচ্ছেদের নামে পাঁচ শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিক্সা আটক করা হয়েছে। যার প্রতিটি গাড়ি থেকেই ব্যাটারি ও মোটর খুলে রাখা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা হবে। এর ফলে বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি দরিদ্র রিক্সা চালকরা শিকার হয়েছে নানাবিধ আর্থিক হয়রানি ও নির্যাতনের।তারা বলেন, গত ৮ বছর ধরে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচলের অনুমতি আদায়ের জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। সিটি মেয়র এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবী নিয়ে গিয়েছি। মেয়র নির্বাচনের সময় ব্যাটারি রিক্সা উচ্ছেদ না করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছেন না। আর তাই শেষ পর্যন্ত রুটি-রুজির তাগিদে ব্যাটারি রিক্সা শ্রমিকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেছে।