2:52 pm , October 1, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হওয়া অটো রিক্সার পক্ষে মাঠে নামছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নগরীতে তিন চাকার ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক (হলুদ অটোরিক্সা) ও ব্যাটরিচালিত রিক্সা বন্ধ করে দেয়ায় শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনমুখী হয়েছেন এ পেশার সঙ্গে জড়িত দশ সহ¯্রাধিকশ্রমিক। তাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন ও সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। মঙ্গলবার নগরীর চাঁদমারিতে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর শায়খে চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, একটি চক্র তিন চাকার নতুন যানবহন সড়কে নামিয়ে কোটি কোটি হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে চলমান দুটি যানবহন বন্ধ করে দিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। অনিশ্চিত জীবনের মুখে পড়েছে তাদের পরিবার। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ইজিবাইক বন্ধ করা হচ্ছে। রায়ে উল্লেখ আছে, যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ করার। তারমধ্যে পড়ে মহাসড়কে চলাচলকারি স্থানীয়ভাবে তৈরী নছিমন-করিমন-ভটভটি ইত্যাদি। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, একটি প্রভাবশালী চক্র নতুন আরেকটি যানবহন সড়কে নামিয়ে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে ইজিবাইক উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে। প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে বরিশাল অচল করে দেয়ার কর্মসূচী দেয়া হবে।
এদিকে আজ বুধবার থেকে আমরন অনশন শুরু করতে যাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিক্সা শ্রমিকরা। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। পুলিশ প্রশাসন গত ১৯ আগষ্ট থেকে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ন সড়কে বন্ধ করে দেয়া হয় ইজিবাইক চলাচল। পর্যায়ক্রমে পুরো নগরীতে এ যানটি বন্ধ করে দেয়ার জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন। বাসদের জেলা সদস্য সচিব ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা ডা. মণীষা চক্রবর্তী জানান, ১৯ আগষ্ট এ যানটি বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে তারা রাজপথে আন্দোলন করছেন। প্রশাসন তাতে কর্ণপাত করছেন না। এমনকি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করার জন্য একাধিকবার গেলেও তিনি দেখা করেননি। নিরুপায় হয়ে দাবী আদায়ে আজ বুধবার অশ্বিনী কুমার হলের সামনে আমরণ অনশন শুরু করবেন রিক্সা শ্রমিকরা।
অপরদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, লঞ্চঘাট ও চকবাজার এলাকায় ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম জানান, আপাতত উল্লেখিত সড়কগুলোতে বন্ধ করা হলেও পর্যায়ক্রমে পুরো নগরী থেকে এ যানটি উচ্ছেদ করা হবে। চলতি অর্থবছর (২০১৯-২০) থেকে এ যানবহনটির নবায়ন বন্ধ করেছে সিটি বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘কয়েকবছর আগে উচ্চাদালত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক অবৈধ ঘোষণা করেছে। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এ যানবহনটি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ যানটি এখন নগরীতে অবৈধ যানবহন। অবৈধ যানবহন বন্ধ করার দায়িত্ব মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসনের’।