2:47 pm , October 1, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজিবাইক (হলুদ অটো) চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল থেকে অবৈধ এ যানবাহন নগরীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এর ফলে সকাল থেকে সদর রোড সহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে যানজট অনেকাংশেই কম ছিলো। তবে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকার কারনে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তাই ইজিবাইকের পরিবর্তে নতুন গাড়ি চলাচলের দাবি তুলেছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে মহানগর কেন্দ্রিক সিটি বাস সার্ভিস চালু’র দাবী বেশিরভাগ যাত্রীদের। যদিও সময়ের সাথে সাথে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এ দূর্ভোগ আর থাকবে না বলে দাবি করেছে নগর ট্রাফিক বিভাগ। মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, ‘হলুদ ইজিবাইক উচ্চ আদালত থেকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। তাছাড়া অবৈধ এই ইজিবাইকের কারনে বিদ্যুতের অপচয় বৃদ্ধির পাশাপাশি নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোড সহ আশপাশের এলাকায় সীমাহিন যানজট বেড়ে যায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদিত দুই হাজার ৬১০টিসহ নগরীতে চলাচলরত সকল অবৈধ অটোরিক্সা বন্ধের পরিকল্পনা গ্রহন করে ট্রাফিক বিভাগ। সে অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব অবৈধ অটোরিক্সা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ১লা অক্টোবর সকাল থেকে নগরীর প্রাণকেন্দ্রে হলুট অটো ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. রবিউল জানান, ‘প্রথম পর্যায় নগরীর জিলা স্কুল মোড় থেকে জেলখানার মোড়, কাকলীর মোড় ফজলুল হক এভিনিউ সড়ক হয়ে সিটি কর্পোরেশনের ও সেটেলমেন্ট অফিস মোড়, ডাচবাংলা ব্যাংকের মোড় থেকে হেমায়েত উদ্দিন (গির্জামহল্লা) হয়ে ফলপট্টি মোড়, ভাটারখাল ক্রসিং থেকে ডিসি অফিস গেট, সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের সামনে থেকে ফলপট্টি মোড় হয়ে চকেরপুল পর্যন্ত হলুদ ইজিবাইক ও ব্যাটারির রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরীর অন্যান্য রুটেও অবৈধ অটোরিক্সা বন্ধ করা হবে।এদিকে মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখাগেছে, হলুট অটোরিক্সা বন্ধ থাকায় যানজট অনেকাংশে কম ছিলো। তবে হঠাৎ করে হলুট অটো বন্ধ করে দেয়ায় সদর রোড কেন্দ্রিক স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অফিস আদালতের স্টাফদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থেকেও সঠিক সময় গন্তব্যে যাত্রা করতে পারেনি তারা।
আলাপকালে নগরীর সাধারণ যাত্রীরা বলেন, হলুদ অটোর কারনে নগরীতে যানজট সৃষ্টি হতো এটা যেমন ঠিক, তেমনি এর জন্য মানুষের সুবিধাও হতো। কেননা গ্যাসের গাড়িতে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। যার কারনে অটোরিক্সাই শেষ ভরসা হয়। এখন অটোরিক্সা বন্ধের কারনে যাত্রীদের পুনরায় জিম্মি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই গ্যাসের গাড়ি বা মাহেন্দ্র’র পরিবর্তে নগরীতে যাত্রীবান্ধব সিটি সার্ভিস চালুর দাবি তুলেছেন যাত্রীরা। এর ফলে নগরীতে যানজট কমার পাশাপাশি যাত্রীরাও জিম্মি দশা থেকে রক্ষা পাবে বলে মনে করছেন তারা।