3:07 pm , September 30, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেছেন, কীর্তনখোলা নদী রক্ষা করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা যা করনীয় তা করা হবে। চলতি বছরই কীর্তনখোলাসহ সকল নদী দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান করা হবে। আর কোন প্রকার নদী দখল নয় জানিয়ে সকলের সহযোগিতা নিয়ে নদীর প্রান ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে চাই বলে নদীকে রক্ষা করার অঙ্গিকার করেছেন জেলা প্রশাসক। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার কীর্তনখোলা নদীর তীরে (ডিসি লঞ্চঘাট সংলগ্ন) অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। “নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা। এর আইনী অধিকার নিশ্চিত করন” নদীর জায়গা নদীকে ছেড়ে দিন নদীকে তার প্রবাহমান গতিতে এনে দিন প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব নদী দিবস সম্মিলিত উদযাপন পর্ষদ বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়। বিশ্ব নদী দিবস সম্মিলিত উদযাপন পর্ষদ জেলা আহবায়ক রনজিৎ দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিআইডব্লিউটি’এর নদী-বন্দর উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার, সনাক জেলা সভাপতি শাহ্ সাজেদা, সরকারী মহিলা কলেজের (অবঃ) অধ্যক্ষ আঃ মোতালেব, বরিশাল জেলা মানবাধিকার জোট সভাপতি ডা. সৈয়দ হাবিবুর রহমান, উন্নয়ন কর্মী আনোয়ার জাহিদ, কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, লিংকন বাড়ৈ, বরিশাল মহিলা পরিষদ সম্পাদক পূস্প চক্রবর্তী, নাসির উদ্দিন, সমাজ কর্মী কাজী মিজানুর রহমান, হাসিনা বেগম নিলা ও সৈয়দা মাহফুজা মিষ্টি প্রমুখ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সংস্থা রান এর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল আলম। মানববন্ধনে নদী-খাল দখল ও দূষন রোধে ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কোট’ গঠন করে অভিযুক্তদের নিকট হতে ক্ষতিপুরন আদায় সহ কারাবাসের ব্যবস্থা করার দাবী জানানো হয়েছে। এছাড়াও নদী-খাল সুরক্ষায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে প্রতিমাসে ন্যূনতম একবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য জেলা প্রশাসনকে পর্যাপ্ত তহবিল,জনবল ও উপকরণের ব্যবস্থা করা সহ ১৭ দফা দাবী আদায় ও দ্রুত কার্য়কর করার লক্ষে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে নৌপরিবহন মন্ত্রালয়ের দেয়া পরিসংখ্যানে তথ্য তুলে ধরেন। যাতে দেখা যায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ৩ হাজার ৬ শত ৩১ জন দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়া বরিশাল জেলায় ১ হাজার ৩শত ৮ জন দখলদারদের নাম তালিকা রয়েছে। অন্যদিকে কীর্তনখোলা নদীর তিরে ৩শত ৫ একর জমীতে ৩৫ জন অবৈধভাবে দখল করে একটি ঔষদ কারখানা,সিমেন্ট কারখানা,লেবুখালী পায়রা নদীতে সেনাবাহিনীর ক্যান্টমেন্ট,কালিজিরা পয়েন্টে প্রান কোম্পানী সহ ওয়ার্কওয়ের নামে খোদ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নদীর জমি দখল রাখার কোন তালিকা প্রকাশ করেনি বলে এসব তথ্য তুলে ধরেননি তারা।
তাই অবিলম্বে উচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করার জন্য দাবী তোলা হয় মানববন্ধন থেকে। উল্লেখ্য স্বাধীনতার পর এদেশের ১৪ হাজার কিলোমিটার নদী পথ ছিল আজ সেখানে ৬ হাজার ৫ শত কিলোমিটার নৌ-পথ এসে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে নদীর জন্য সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেন পরিবেশ আন্দোলন,নদী রক্ষা আন্দোলন,নদী বাঁচাও আন্দোলন,পরিবেশ আইনবীদ সমিতি,টিআইবি,রান,ড্যাম,প্রান্তজন সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন।