লঞ্চ ঘাটের টোল দ্বিগুন লঞ্চ ঘাটের টোল দ্বিগুন - ajkerparibartan.com
লঞ্চ ঘাটের টোল দ্বিগুন

3:03 pm , September 30, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দ্বিগুন হলো বরিশাল-ঢাকা নৌ বন্দরে যাত্রীদের প্রবেশ ফি। এখন থেকে নদী বন্দরে প্রবেশে লাগবে ১০ টাকা। যা ইতিপূর্বে ছিলো পাঁচ টাকা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে টিকেটের নতুন মূল্য কার্যকর হবে। এদিকে শুধুমাত্র নৌ বন্দরের প্রবেশ টিকের মূল্যই বাড়েনি। বৃদ্ধি পেয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র আওতাধীন আউট স্টেশনের টিকেট (টোল) ফিও । ওইসব স্টেশনে ৩ টাকার যাত্রী টোল বাতিল করে তা ৫টাকা করা হয়েছে। তবে আউট স্টেশনে নতুন ফি কার্যকর হবে আগামী ১লা জুলাই থেকে। বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. আজমল হুদা মিঠু সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এমনকি বর্ধিত ভাড়ার বিষয় নিয়ে গতকাল নদী বন্দরে নোটিশ টানানো ছাড়াও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বন্দর কর্মকর্তা। এদিকে হঠাৎ করেই নদী বন্দর ভবনে যাত্রীদের প্রবেশ ফি বৃদ্ধির খবরে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ৫ টাকার ভাড়া দ্বিগুন করা সাধারণ যাত্রীদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা বলে মনে করছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সংগঠকরা। তবে যা কিছুই হয়েছে তা মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন বরিশাল নৌ বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার। তিনি বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র আওতাধীন দেশের সকল নদী বন্দর ও আউট স্টেশনে প্রবেশ টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। সম্প্রতি নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান কার্যালয় যৌথ ভাবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। তারই অংশ হিসেবে বরিশাল নদী বন্দরের টার্মিনাল ভবনে যাত্রীদের প্রবেশ ফি ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। যা ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। তবে টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী ও গর্ভবর্তী মায়েদের প্রবেশ ফি’র প্রয়োজন হবে না। তিনি আরো বলেন, ‘টার্মিনালে প্রবেশ ফি শুধুমাত্র বরিশাল নৌ বন্দরের জন্যই নয়, বরং দেশের প্রতিটি নৌ বন্দরে প্রবেশ ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা একই সাথে কার্যকর হবে। পাশাপাশি আগামী ১ জুলাই থেকে আউট স্টেশনেও ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। এদিকে নৌ বন্দরে যাত্রীদের প্রবেশ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধীতা করেছেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল। তিনি বলেন, ‘নদী বন্দরে প্রবেশে যাত্রীদের কাছ থেকে ফি আদায়েরই কথা ছিলো না। কেননা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ যাত্রীবাহী নৌযান থেকে টাকা পাচ্ছে। তার পরেও যাত্রীদের কাছ থেকে ৫টাকা ফি রাখা হতো। এটা সহনশিল বিধায় মেনে নেয়া যায়। কিন্তু ৫টাকা থেকে তা দ্বিগুন করার বিষয়টি মেনে নেয়ার মতো নয়। কেননা একজন গরিব যাত্রীর জন্য ১০ টাকাই অনেক বড় কিছু। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে প্রবেশ ফি’র নামে যে টাকাটা আদায় হচ্ছে সেটাকা কোন কাজে ব্যয় করা হচ্ছে সেটা আমাদের জানার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা আমরা জানতে পারছি না। মুলত এই টাকাটাই বিভিন্নভাবে লুন্ঠন হচ্ছে। তাই নদী বন্দরে প্রবেশ ফি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসনেব বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT