2:57 pm , September 29, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দক্ষিণাঞ্চলের ৩টি জেলায় প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) নির্মিত হতে যাচ্ছে। এরফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলে একটি বড় শূণ্যতা পুরন হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। বরিশাল, ভোলা ও ঝালকাঠীতে এসব ম্যাটস স্থাপিত হবে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ভোলা ও ঝালকাঠীতে ম্যাটস’র নির্মান কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি)। খুব শীঘ্রই বরিশালের আগৈলঝাড়া এবং বাবুগঞ্জে অনুরূপ দুটি ম্যাটস’র নির্মান কাজও শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এইচইডি বরিশাল জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী রেজা খান। একটি প্রকল্পের আওতায় সরকারের চুড়ান্ত অনুমোদনের পরে সম্পূর্ণ দেশীয় তহবিলে দক্ষিণাঞ্চলে ৪টি ম্যাটস গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিবছর এসব ম্যাটস থেকে পাশ করা প্রায় ৪শ স্বাস্থ্য সহকারী স্বাস্থ্য সেবায় যোগ দেবে বলে আশা করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল মহল। সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে কোন মেডিকেল এ্যাসিষ্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ছিল না দীর্ঘদিন। অথচ স্বাস্থ্য সেবায় ম্যাটস থেকে পাশ করা ‘সাব-এ্যসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের (সেকমো) অবদান অসামান্য। ৮০’র দশকে পিরোজপুরে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ম্যাটস প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৮২ সালের সামরিক সরকার তা বন্ধ করে দেয়। তবে ২০০৬-০৭ সালে বরিশাল মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে একটি ‘হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠিত হয়। হেলথ টেকনোলজির উপর ৪বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু রয়েছে। তবে দেশীয় প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয় ঐ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠার এক যুগ পড়েও তা রাজস্ব খাতে স্থানান্তর হয়নি।
প্রস্তাবিত ৪টি ম্যাটস’র জন্য ৩ একর করে ভুমি হুকুম দখল করা হয়েছে। এসব ম্যাটস-এ প্রতি বছর ১শ ছাত্রÑছাত্রী ভর্তি করা হবে। যারমধ্যে ৪০জন ছাত্রী। ৪ বছর মেয়াদী মেডিকেল ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্নের পরে উত্তীর্ণরা সরকারের চাহিদা মোতাবেক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারী চাকুরীও লাভ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে ম্যাটস উত্তীর্ণ মেডিকেল ডিপ্লোমাধারীদের ২য় শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তার পদমর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ম্যাটস উত্তীর্ণ ডিপ্লোমাধারী সেকমো’দের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতেও সেকমোদের নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি দায়িত্বশীল সূত্র।
ভোলা ও ঝালকাঠীতে দুটি ম্যাটস-এর নির্মান কাজ ২০২১-এর জুনের মধ্যে শেষ করে ঐ বছর থেকেই ক্লাশ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বরিশালের আগৈলঝাড়া ও বাবুগঞ্জের প্রকল্প দুটির কাজ এখনো শুরু হয়নি। আসন্ন শীত মৌসুমে এ দুটি স্থানেও ম্যাটস-এর অবকাঠামো নির্মান কাজ শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে বাবুগঞ্জের প্রকল্প এলাকাটি যথেষ্ট নিচু হওয়ায় সেখানে নির্মান কাজ শুরু ও তা শেষ করা যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়তে পারে বলেও মনে করছে একটি দায়িত্বশীল সূত্র।