লালমোহনে কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ও বাসায় ভাংচুর, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন লালমোহনে কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ও বাসায় ভাংচুর, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন - ajkerparibartan.com
লালমোহনে কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ও বাসায় ভাংচুর, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

3:25 pm , September 27, 2019

লালমোহন প্রতিবেদক ॥ লালমোহন পৌরসভা নির্বাচনে পৌর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আনিচল হকের নির্বাচনী অফিস ও বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ২নং ওয়ার্ডের নাডা বাড়িতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এর কিছুক্ষন পর প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী হেলাল উদ্দিন হাওলাদারের কর্মী সমর্থকগণ কাউন্সিলর প্রার্থী আনিচল হকের অফিস ও বাসায় ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন আনিচল হক। এতে কাউন্সিলর প্রার্থী আনিচল হকের স্ত্রীসহ ১৪জন আহত হয়। এরমধ্যে বেশিরভাগই নারী। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে আহতরা লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে কাউন্সিলর প্রার্থী হেলাল উদ্দিন হাওলাদার বলেন, কর্মীরা কর্মীরা কথাকাটাকাটি হয়েছে। এর রেশ ধরে আমার মা জোহরা খাতুনকে মাথায় আঘাত করে আহত করা হয়েছে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। মারামারিতে আমার ১৭/১৮ জন কর্মী আহত হয়েছে। আমার মাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি আছে।এ ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী আনিচল হক শুক্রবার বেলা ১১টায় লালমোহন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, নাডা বাড়িতে উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির শেষে হেলালউদ্দিন কাউন্সিলরের কর্মী মানু, হক সাহেব, নুরনবী, হারুন ও তার ৩ ছেলেসহ বেশ কয়েকজন আনিচল হকের নির্বাচনী অফিস ও বাসা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায়। এতে তার স্ত্রীসহ ১৪জন আহত হন। বাসার সকল আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে মহিলাদের স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া তার কর্মী জাকির হাওলাদারের বাসায় হামলা করে তার স্ত্রী ইয়ানুর বেগম চম্পাকেও মারধর করে। ঘটনার পর থেকে তার কর্মীদেরকে হুমকি ও ভয়ভীতি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন আনিচল হক। তিনি প্রশাসনের কাছে এ হামলা ও লুটপাটের বিচার চান।এসময় উপস্থিত ছিলেন, লালমমোহন উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন পঞ্চায়েত, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সহ আরো কয়েক জন।এছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন হাওলাদার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আনিচল হকের কর্মীরা স্থানীয় নাডা বাড়িতে বাঁশ দিয়ে পথ আটকে দেয়। এতে বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়ির নয়ন নামে আমার এক কর্মী বাড়িতে যাওয়ার সময় দরজায় বাঁশ দেখে ডাক চিৎকার করে। সেখানে থাকা আনিচল হকের কর্মী গেদু, নুরুজ্জামান, সবুজ এর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পরপরই আনিচল হকের ভাতিজা পৌর যুবদল সভাপতি জাকির হোসেনের নেতৃত্বে আমার মায়ের উপর হামলা করে তাকে আহত করে। পরে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তাদের নির্বাচনী অফিসের চেয়ার টেবিল উল্টে রেখে আমার কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আমি লালমোহন থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিলে তিনি ও পৌর মেয়র পরিস্থিতি শান্ত করেন। লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, সংবাদ শুনে এএসপি (লালমোহন সার্কেল) রাসেলুর রহমান স্যারসহ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT