2:59 pm , September 25, 2019
শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া ॥ মঠবাড়িয়ায় সাপলেজা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বেত্রাঘাতে জিহাদ (১৬) নামে ১০ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী একটি চোখ হারাতে বসেছে। এঘটনায় জড়িত শিক্ষককে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবীতে গতকাল বুধবার দুপুরে মানবন্ধন করেছে অভিভাবকরা। জড়িত শিক্ষক গোলাম রব্বানীকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবী করে কমঠবাড়িয়া-সাপলেজা সড়কের স্থানীয় সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখ সড়কে ঘন্টব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষার্থীর স্বজন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। পরে তারা সাপলেজা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে চৌরাস্তা মোড়ে এক সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন আহত শিক্ষার্থী জিহাদ এর বড় ভাই রুম্মান, অভিভাবক মালেকা বেগম, সোহরাপ বেপারী ও তানিয়া বেগম প্রমূখ। আহত জিহাদ উপজেলার সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র ও সাপলেজা গ্রামের সৌদি প্রবাসী বাবুল বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে আহত জিহাদের বড় ভাই রুম্মান বাদী হয়ে ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক গোলাম রব্বানীকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়-গত ২৫ আগস্ট ১৯’ সকালে সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম রব্বানি লিটন এর কাছে ইংরেজী ব্যাকারণ প্রাইভেট পড়ার সময় বেত দিয়ে আঘাত করলে জিহাদের বাম চেখে আঘাত লাগে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে খুলনা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। বর্তমানে জিহাদ গত একমাস ধরে ঢাকা হারুন আই ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে দ্রুত অপরেশন না হলে তার চোখ নষ্ট হতে পারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানি লিটন ওই ছাত্রকে মারধোরে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মোঃ হানিফ হোসেন নামের দশম শ্রেনীর অপর এক ছাত্র গ্রামার লিখে না আনায় তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে চাইলে পাশে বসা জিহাদের চোখে পড়ে। তিনি আরও বলেন আমি স্থানীয় দলাদলির স্বীকার।
সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাশেদ জানান, এ ঘটনার কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে এ বিষয়ে ম্যনেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের সাখে আলোচনা করে সিদান্ত প্রহন করা হবে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া শিক্ষকের বেতের আঘাতে ছাত্র আহতর ঘটনায় দুংখ প্রকাশ করে বলেন-বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রতিটি সভায় শিক্ষকদের কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো নিষেধ করা হলেও শিক্ষকরা তা মানছে না। তিনি আরও বলেন এ বিষয় মামলা হয়েছে। আইনে যা হয় তা হবে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-জড়িত শিক্ষককে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা চলছে।