2:56 pm , September 24, 2019
আগৈলঝাড়া প্রতিবেদক ॥ আগৈলঝাড়ার রাধা গোবিন্দ মন্দিরের প্রতীমা ভাংচুর, মন্দিরের স্ব^র্নালংকার, প্রনামী টাকা চুরির রহস্য অবশেষে উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়ির একটি ঘর থেকে চুরি যাওয়া পূজার আংশিক মালামাল পুলিশ উদ্ধার করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মন্দির কমিটির সভাপতি ও মামলার বাদী, সাধারন সম্পাদক এবং পূজারী এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গৌরনদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল দাস, গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটুসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকত্র্া মো. আফজাল হোসেন, ওসি (তদন্ত) নকিব আকরাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসীম উদ্দিন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন জানান, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পূর্ব পতিহার গ্রামের সরকার (শীল) বাড়ির রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রহস্যজনক চুরির ঘটনার পর থেকেই তিনি নিজে আলোচিত মামলাটি মনিটরিং করছিলেন। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করে ষড়যন্ত্রের রহস্যর জট খুলেছেন তিনি। তিনি আর বলেন, মন্দিরের ব্যবহৃত খোয়া যাওয়া ৫০টি ষ্টিলের থালা সকালে উদ্ধার করা হয় ওই বাড়ির মৃত সন্তোষ শীলের স্ত্রী ওই মন্দিরের পুজারী আরতী রানী শীলের ঘর থেকে। আরতীর বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, গত ১৫দিন আগে ওই বাড়ির প্রফুল্ল শীলের স্ত্রী সীমা রানী শীল তার ঘরে ওই ৫০টি থানা রেখে আসে। ঘটনার সূত্র ধরে রহস্য উদঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার বাদী ও মন্দিরের সভাপতি পরাণ শীল, সাধারন সম্পাদক দিলীপ চন্দ্র শীল ও পুজারী আরতী শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রহস্যজনক মামলায় আটককৃতরা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেও তদন্তের স্বার্থে তিনি তা বলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার থানায় বসে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন।
উল্লেখ্য-চলতি বছর ১৮ এপ্রিল রাতে উল্লেখিত মন্দিরের গ্রীল ভেঙ্গে মন্দিরের ছয়টি প্রতীমা ভাংচুর করে প্রতীমার গায়ের স্বর্নের টিপ, টিকলী ও প্রনামী বাক্সের টাকা ও মন্দিরে পূজায় ব্যবহৃত কাসা পিতলের অন্তত ১৫ কেজি থালা বাসন চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা দুর্বিত্তরা। পরদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন জাতির পিতার ভাগ্নে, (মন্ত্রী) পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক, বরিশাল-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহসহ জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের উর্ধতন নেতৃবৃন্দরা। ওই ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতি পরাণ চন্দ্র শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানায় মামরা দায়ের করেছিলেন, নং-১১(২৪-৪-১৯)।