2:54 pm , September 17, 2019
সাঈদ পান্থ ॥ নগরীতে দিনে দিনে বেড়ে চলেছে অপরাধ প্রবনতা। নারী নির্যাতন, সিদেল চুরি, অস্ত্র আইন, মাদক দ্রব্যসহ অন্যান্য অপরাধ ক্রমশই বাড়ছে। শুধু মাত্র মহানগর পুলিশের ৪ থানাতেই নয়, বরং জেলার ৯ থানায়ও এই অপরাধ প্রবনতা বাড়ছে। সকল অপরাধ প্রতি মাসে বেড়েই চলেছে। যার কারণে দিনে দিনে বিভিন্ন অপরাধে মামলার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই সকল অপরাধ বৃদ্ধির ফলে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের। বরিশাল জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু আইন শৃংখলা বাহিনী এই মামলা হওয়াকে পজেটিভ ভাবে দেখছেন।
বরিশাল আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভার তথ্য অনুসারে, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় চলতি বছর জুলাই মাসে মোট বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ১৮১টি। যা আগষ্ট মাসে হয়েছে ২১৮টি। যদি গত বছরের হিসেবে দেখা হয় তবে দেখা যায় এই মামলার সংখ্যা ছিল খুবই কম। মাত্র ১৫০টি মামলা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এ বছর অপরাধ প্রবনাতা বেড়েছে। তবে আগষ্ট মাসে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলার সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে অন্যান্য অপরাধের সংখ্যা কমেছে। একইভাবে বরিশাল জেলার ৯টি থানা এলাকায় চলতি বছর জুলাই মাসে মোট বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ১৬৭টি। যা আগষ্ট মাসে হয়েছে ১৯০টি। গত বছর হয়েছিল ১৭৯টি মামলা। এ ক্ষেত্রেও গত আগস্টের তুলনায় এ বছর অপরাধ প্রবনাতা বেড়েছে। জেলায় সব চেয়ে বেশী মামলা হয়েছে নারী নির্যাতন ও অন্যান্য মামলা। তবে খুন, ডাকাতি ও দস্যূতা কমেছে। হিসেবে মতে, বরিশাল জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় চলতি বছর জুলাই মাসে মোট অপরাধের সংখ্যা ছিল ৩৪৮টি যা আগষ্ট মাসে এ দাড়িয়েছে ৪০৮টি। এক মাসের ব্যবধানে যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬০ টিতে। ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসে মোট অপরাধের সংখ্যা ছিল যেখানে মাত্র ৩২৬টি। বরিশাল জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় অপরাধের পরিসংখ্যান অনুসারে জুলাই মাসে ডাকাতি হয়েছে ১টি, দস্যুতা ৩টি, খুন ৫টি, সিধেল চুরি ১০টি, চুরির ৮টি, নারী নির্যাতন ৩৫টি, অস্ত্র আইন ৩টি মাদকদ্রব্য ১৯১টি, পুলিশ আক্রান্ত ১টি, শিশু নির্যাতন ৪টি এবং অন্যান্য ৯১টি। বরিশাল জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় অপরাধের পরিসংখ্যান অনুসারে আগষ্ট মাসে ডাকাতি হয়েছে ১টি, দস্যুতা ২টি, খুন ৫টি, সিধেল চুরি ১২টি, চুরির ১০টি, নারী নির্যাতন ৪৭টি, অস্ত্র আইন ৪টি মাদকদ্রব্য ২০১টি, চোরাচালান ১টি, দ্রুত বিচার ১টি, পুলিশ আক্রান্ত ১টি, শিশু নির্যাতন ২টি এবং অন্যান্য ১২২টি।
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: নাঈম বলেন, ‘মাদক মামলা বাড়লে সেটা ভাল। কিন্তু চুরি, ডাকাতি, নারী নির্যাতন মামলা বাড়লে সেটা আইন শৃংখলার অবনতির সামিল। আগষ্ট মাসে বেশি বেড়েছে নারী নির্যাতন মামলা। বিভিন্ন স্থানে যৌন হয়রানী ও নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হওয়ার কারণে এই মামলার সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমরাও নারী নির্যাতনের মামলা গুলো জোরালো ভাবে দেখছি বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো: শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘উদ্ধার অভিযানে মামলা হলে সেটি পজেটিভ সাইন। বিশেষ করে এ বছর আমরা মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। যার কারণে গত কয়েক মাস ধরে উদ্ধার মামলার সংখ্যা বেড়েছে। তবে যদি খুন, দসুতা ও ডাকাতি বেড়ে যেতে সেখানে আইন শৃংখলার অবনতি ধরা যেত। কিন্তু আমরা পজেটিভ সাইনে রয়েছি।