3:21 pm , September 13, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা হ্রাস পেলেও শুক্রবার সকালের পূর্ববর্তি ৭২ ঘন্টায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ২জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে বিভাগের ৬টি জেলার সরকারী হাসপাতালগুলোতে নতুনকরে ভর্তি হয়েছেন আরো ১৮১ রোগী। যার মধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে ৯৬জন। যা শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১শ অতিক্রম করেছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৭০। তবে বিকেল নাগাদ বিভাগের ছয় জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারীÑবেসরকারী হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৫ হাজার অতিক্রম করছে। যার মধ্যে বরিশালের দুটি বেসরকারী হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে প্রায় ১শ রোগী। তবে এর বাইরে আরো অন্তত দ্বিগুন রোগী বেসরকারী বিভিন্নভাবে চিকিৎসা গ্রহন করেছে।
গত বুধবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুলাদীর জিহাদ ও বরগুনার পাথরঘাটার সুরাই নামের দুই কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু ঘটে। দুজনের বয়সই ছিল ১৪ বছর। এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৩ জনের মৃত্যু হল। যার মধ্যে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই মারা গেছে ৭জন।
শুক্রবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিল ৫৪ জন। বৃহস্পতিবার ছিল ৬২ ও বুধবারে ৬৭ জন। এর মধ্যে গত তিনদিনে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে যথাক্রমে ৩৬, ১৯ ও ৪১ জন ডেঙ্গু রোগী।
শুক্রবার সকালের হিসেব অনুযায়ি দক্ষিনাঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১৯৬। যার মধ্যে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ৯৫ জন চিকিৎসাধীন ছিল। বিকেল নাগাদ তা প্রায় ১শতে পৌছে।
ঢাকার পরে এখনো দক্ষিণাঞ্চলেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মৃত্যুর সংখ্যা বেশী বলে জানা গেছে। এমনকি আক্রান্তের দিক থেকেও এ অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনো অনেকটাই উদ্বেগজনক। আর দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার মধ্যে পিরোজপুরের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এ জেলটিতে এখনো প্রতিদিন গড়ে ২৫ জনের বেশী ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলাটির বিভিন্ন হাসপাতালে ৩১জন ডেঙ্গু রোগীচিকিৎসাধীন ছিল। যা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরের অবস্থানে।
তবে জেলাটির বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে যে সংখ্যক রোগী প্রতিদিন চিকিৎসাধীন থাকছে, তার প্রায় দ্বিগুন রোগীকে খুলনা ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরন করছেন স্থানীয় চিকিৎসকগন। সে বিবেচনায় পিরোজপুর জেলায় এখনো ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যাকে উদ্বেগজনক বলে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।