অবশেষে জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে অবশেষে জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে - ajkerparibartan.com
অবশেষে জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে

3:15 pm , September 11, 2019

মোঃ আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ অবশেষে নদীতে ধরা পড়তে শুরু করেছে কাংখিত ইলিশ। তাই দেরিতে হলেও জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে সাগড়ে ইলিশ বেশি পড়ায় দাম কমের কারনে মিঠা পানির সুস্বাধু মেঘনার ইলিশের দাম পাচ্ছে না স্থানীয় জেলেরা। দ্বীপ জেলা ভোলাকে ইলিশের বাড়ি বলা হয়। কারন এর চারপাশটা ইলিশের অভয়াশ্রম বলে খ্যাত মেঘনা আর তেতুলিয়া নদী বেস্টিত। ইলিশ মৌসুমের শেষে এসে অবশেষে কাংখিত রুপালী ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে জেলেদের জালে। যে কারনে জেলেদের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। তাই নদীতে নৌকা নিয়ে ছুটছে আর মাছ ধরার কাছে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। শুধু তাই নয়,জেলেদের জালে একের পর এক উঠতে থাকে কাংখিত ইলিশ। মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ একটু কম হলেও সাগড়ে প্রচুর ইলিশ ধরা পরছে। ঐ মাছের সাথে বিক্রি হওয়ার ফলে দাম কম পাচ্ছে ভোলার স্থানীয় জেলেরা। এই নদীর ইলিশ অন্যসব নদীর ইলিশের চেয়ে সুস্বাধু হওয়ায় এই নদীর ইলিশের কদর একটি বেশিই থাকে। তবে দাম কমের কারনে পুশিয়ে নিতে পারছে না জেলে ও আড়ৎদাররা। তার পরেও জেলে ও আড়ৎদারদের আশা এভাবে মাছ পাওয়া গেলে তাদের পিছনের ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন। ভোলার দৌলতখান মাছঘাটের ব্যবসায়ী মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন,সাগড়ে প্রচুর ইলিশ ধরা পরছে, সেই তুলনায় মেঘনা ও তেতুলিয়ায় একটু কম। তবে স্বাদের দিগ থেকে এই নদীর ইলিশ বেশি জনপ্রিয় হলেও দামের দিগ থেকে এক হওয়ায় আমরা পোষাতে পারছি না। ঢাকার বাজারে আমার সঠিক দর না পাওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছি আমরা। অপরদিকে মোঃ সবুজ নামের এক জেলে জানান,ভরাা মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরা না পরলেও এখন ভালো মাছ পাচ্ছি। তাই পূর্বের দেনা পরিশোধ করতে পারবো বলে আশা করছি। ইলিশ পাওয়ায় ভালোই লাগছে। সবকিছুর পরেও থেমে ভোলার অন্তত দেরলাখ জেলে। ছুটছেন উত্তাল মেঘনাকে উপেক্ষা করে মাছের আশায়। আর তাই আশাহত হচ্ছেন না জেলেরা। ইলিশ ধরা পরতে শুরু করায় দিন-রাত বেচাকেনা হচ্ছে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর পাড়ের মাছ ঘাট গুলোতে। হাট-ডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তাই জেলেদের পাশাপাশি খুশি মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও। এবছরের ১লাখ ৬০হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের যে লক্ষে পাত্রা অর্জিত হবে। তাইতো সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বলেন, বিগত সময়ে ইলিশের পরিমান অত্যন্ত কম থাকা পরেও বর্তমানে ইলিশের পরিমান অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৃস্টিপাতের কারনে দেরিতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে যে পরিমানে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে এবং সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে পাওয়া গেলে তা হলে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা আছে সেটা অর্জিত হবে বলে তিনি আশা করছেন। বর্তমানে যে পরিমানে নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতে ইলিশ যেতে পারে সেদিকে লক্ষা রাখার জন্য সরকার এর প্রতি দাবী ভোলার মৎস্য আড়তদারদের। একই সাথে নদীতে নিধিদ্ধজালমুক্ত করার দাবীও তাদের।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT