2:40 pm , September 5, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশায় শিক্ষার্থীদের বাসে উঠতে না দেয়াকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একটি বাস ভাংচুর করে। পাশাপাশি বরিশাল-বানারীপাড়া-স্বরুপকাঠি রুটে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়ায় প্রায় আধাঘন্টা সময় ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মাধবপাশা ইউনিয়নের দুর্গাসাগর এলাকায় চন্দ্রদ্বীপ হাইস্কুল এন্ড কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি পুলিশের মধ্যস্ততায় বাস মালিক-শ্রমিক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগে নেতা কাজী অপু জানান, মাধবপাশা’র চন্দ্রদ্বীপ হাইস্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী কলেজে আসতে চন্দ্রপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু বাসের হেলপার তাকে বাসে না তুলে ধাক্কা দিলে সে পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। এর প্রতিবাদ করলে ওই শিক্ষার্থী ও শ্রমিকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বাসটি কলেজের সামনে পৌছলে অন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই বাসটিতে হামলা এবং ভাংচুর করে। এদিকে শিক্ষার্থীরা বাসে হামলা করায় তাদের ভৎসনা করেন দুর্গাসাগর এলাকার ব্যবসায়ী রিপন মোল্লা ও তার ছেলে। এমনকি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে তারা। এর প্রতিবাদ করতে গেলে চন্দ্রদ্বীপ হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মো. জামালকে লাঞ্চিত করে বাবা-ছেলে। এর প্রতিবাদ এবং বাস শ্রমিকের বিচার দাবিতে বরিশাল-বানারীপাড়া আঞ্চলিক সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি শিক্ষককে লাঞ্চিতকারী রিপন মোল্লাকে আটক করে।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রিপন মোল্লা নামের ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাছাড়া বাস মালিক সমিতি নেতা এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কালাম মোল্লা, শ্রমিক নেতা ও কলেজের সভাপতি দুলাল কাজী এর উপস্থিতিতে দ্বন্দ্ব নিরসন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তাছাড়া কলেজের শিক্ষকরা আটককৃত রিপন মোল্লাকে তাদের নিজেদের জিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়েছে।