3:06 pm , September 4, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু’র বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ১০/১৫টি লঞ্চ ঘাট পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে সরকার বিআইডব্লিউটিএ’র ইজারাদারদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে ঘাটের প্রকৃত ইজারাদারদের। তাই এমপি টিপুর মালিকানাধীন লঞ্চ কোম্পানিকে দেয়া ছদ্মনামের ঘাটের সময়সূচী বাতিলের দাবী জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন বিআইডব্লিউটিএ’র ঘাট ইজারাদার ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সরদার মনিরুজ্জামান মনির। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা-বরিশাল ভায়া নন্দীবাজার, ঢাকা-টরকি, সুর্যমনি, মাদারীপুর, মুলাদীসহ ১৮টি লঞ্চ সময়সূচী অনুমোদন নিয়ে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কতৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমডোর মাহাবুবুল আলম সহ কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমপি টিপু তার মালিকানাধীন মেসার্স ফারহান ও মেসার্স আগরপুর নেভিগেশন কোম্পানীকে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে সময়সুচীর অনুমোদন দিয়েছে। এ কারনে লঞ্চঘাট ইজারা নেয়া মালিকদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এমন কি এ অবস্থা চলমান থাকায় ওইসব এলাকায় হাজার হাজার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সহ জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, আমি বিআইডব্লিউটিএ’র সকল নিয়ম মেনে লঞ্চঘাটগুলো পরিচালনা করছি। তাছাড়া ঘাটগুলো পরিচালনার জন্য আমার কাছে অনুমোদন রয়েছে। সরদার মনির নামে যে ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করেছে মুলত তিনি আমার কাছে একটি লঞ্চ ভাড়া নিতে আসছিল। না দেয়ার কারনে সে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছে।
বাংলাদেশ অভন্তরীন নৌ-পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. আবু জাফর হাওলাদার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি অবগত নই’। বক্তব্য জানতে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের সাথে সরকারি টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।