3:05 pm , September 2, 2019
মঠবাড়িয়া প্রতিবেদক ॥ বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ না করায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার হাজী আবদুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে ওই ক্লিনিকের সাবেক ম্যানেজার ইব্রাহীম খলিল। গত বৃহস্পতিবার ওই ম্যানেজার ইব্রাহীম খলিল বাদী হয়ে ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাককে প্রধান আসামী করে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানকে সরেজমিন অনুসন্ধান এবং সাক্ষ্য প্রমান গ্রহন পুর্বক পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই ক্লিনিকের মালিক আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন যাবত কুয়েত প্রবাসী। তিনি ২০১৩ সালে কুয়েতে থাকাকালীন মাসিক ২৫ হাজার টাকা বেতনে তার সহকারী হিসেবে উপজেলার ফুলঝুড়ি গ্রামের মৃত তুজাম্বর আলীর পুত্র ইব্রাহিম খলিলকে নিয়োগ দেন। এরপর থেকে ইব্রাহিম খলিল ২০১৭ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কুয়েত প্রবাসী আঃ রাজ্জাকের সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ইব্রাহীম খলিল অভিযোগ করেন, ক্লিনিক মালিক আবদুর রাজ্জাক অশিক্ষিত লোক হওয়ায় নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তার সমস্ত জমিজমা দেখাশুনার দায়িত্ব আমাকে দেন এবং আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর উপজেলার সাফা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন জমি ক্রয় করে হাজী আবদুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টি সেন্টারের বিল্ডিং নির্মাণ ও ক্লিনিকের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু ক্লিনিক মালিক আঃ রাজ্জাক ২০১৩ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০১৭ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত পাওনা (৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা) কোন বেতন ভাতা পরিশোধ না করে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে।
এ ব্যাপরে ক্লিনিকের মালিক হাজী আবদুর রাজ্জাক কুয়েতে তার কর্মস্থালে যাওয়ায় তার সাথে সরাসরি কথা না বলা গেলেও মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খলিলকে আমি প্রতি মাসে আমি দশ হাজার টাকা করে বেতন পরিশোধ করেছি। তিনি আরো বলেন আমি তার কাছে প্রায় ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পাব এবং এনিয়ে থানায় মামলা করলে সে আমাকে হয়রানী করার জন্য পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন।