3:00 pm , September 2, 2019
শাকিল মাহমুদ বাচ্চু, উজিরপুর ॥ ভাসমান সবজি চাষাবাদ করে নিজেদের ভাগ্যবদল করেছে উজিরপুর উপজেলার প্রায় এক হাজার কৃষক। এক সময়ের দুঃখের সংসারে এখন হাসির ঝিলিক ফুটছে পানির মধ্যে ভাসমানভাবে চাষ করা নানা প্রকার শাক-সবজি ভাল দামে বিক্রি করে। বছর জুড়ে বিভিন্ন প্রকারের সবজি ও শাক চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন উজিরপুর উপজেলার সাতলার কয়েকশত পরিবার । যাদের বছরের ৭ মাস সময় পানি বন্দী অবস্থায় দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। এখন সেই পানিতেই তারা নানা প্রকার শাক সবজি চাষাবাদ করে ফসল ফলিয়ে হাট বাজারে বিক্রি করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাল ভাবে জীবন যাপন করছেন। প্রায় ৫০ বছর ধরে উজিরপুর উপজোলার সাতলা ও হারতা ইউনিয়নে শতশত কৃষক ভাষমান সবজি চাষাবাদ করছেন। কৃষি কর্মকর্তারাও সাতলা ইউনিয়নকে আলাদা নজরে রেখে চাষীদের সর্বতœক সহয়াতা দিচ্ছেন। উজিরপুর কৃষি অফিস জানিয়েছেন, সাতলা ইউনিয়ন কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে যা দেশের মধ্যে ইতিহাস নজির। সাতলার নয়াকান্দি, শিবপুর, রাজাপুর,উত্তর সাতলা,পটিবাড়ী গ্রামে প্রায় ১ হাজার কৃষক ভাষামান সবজি চাষাবাদ করে তাদের ভাগ্যর পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। সরজমিনে সাতলা গিয়ে দেখাগেছে নানা চিত্র শিবপুর গ্রামের শুকলাল বাড়ৈ একসমায়ে অন্যর জমিতে দিনমজুরের কাজ করতো পানির মধ্যে ভাষামান শাক সবজির চাষ করে দুই মেয়ে এক ছেলে সহ পাচজনের পরিবার নিয়ে ভালবাবেই জীবিকা নির্বাহ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। শুকলালের মত একই গ্রামের নাজমূল ইসলাম একই পদ্বতিতে সবজি চাষ করে এখন লাখ পতি । শুকলাল বাড়ৈ জানান, সে ৪০ টির মতো বোড দিয়ে নানা প্রজাতির সবজি উৎপাদন করে সপ্তাহে ২ দিন নিকটবর্ত্তি এলাকা বানারীপাড়ার বিশারকান্দিও চৌমহনী হাটে বিক্রি করে নগদ অর্থ নিয়ে বাড়ি আসেন। ভাসমান সবজির চাহিদা ভাল থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় ভাসমান সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় প্রচুর চাহিদা ও দাম চড়া হওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। সাতলার শিবপুর গ্রামের আনোয়ার বাহাদুর নামক এক ব্যাক্তি তার নিজ বাড়ির পাশে পানিতে পতিত জমিতে প্রথমে ভাসমান সবজি চাষ শুরু করেন অল্প পুজিতে বেশী ব্যাবসা হওয়ায় তার দেখাদেখি ওই এলাকার মানুষ এ পেশায় ঝুকে পরেন। বর্ষার মৌসুম মানুষের জন্য কষ্টকর হলেও সাতলার প্রায় ১ হাজার পরিবারের জন্য এখন আর্শিবাদ। বর্ষায় তারা আনন্দে পানির মধ্যে ভাসমান সবজি শুরু করেন বছরের প্রায় ৮ মাস চলে তাদের চাষাবাদ। সশা, কাকরল,মিষ্টি কুমার,লাউ,বেগুন, জালী ,লাল শাক ,পালন শাক সহ নানা প্রকার শাক সবজি চাষ হয় ভাসমান বোডে। সাতলা ইউনিয়নের দায়িত্বরত সহকারী কৃষিকর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাতলায় কৃষিকাজ বা চাষাবাদ করে মানুষ নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন বরিশাল বিভাগের শাক ,সবজির চাহিদার বেশীর ভাগ যোগান দেয়া হয় সাতলা থেকে তিনি কৃষকদের সবসময় পরামর্শ ও সহয়াতা দিচ্ছেন । উজিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকতা মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার জানান, সাতলার শতশত কৃষক পানির মধ্যে ভাসমাল শাক সবজি চাষাবাদে বিপ্লব ঘটিয়েছেন ।