2:44 pm , September 1, 2019
কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ কলাপাড়ার বাদুরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বাচ্চু ও ইটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মো. মাহমুদ আলম পলাশ প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করিয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দুলাল হাওলাদার। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বাদুরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পাঁচ একর ২৮ শতাংশ জমির মালিক মরহুম সের আলী হাওলাদার। তার ওয়ারিশদের মধ্যে জমির বন্টনকে ঘিরে টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে জমির শুধু সীমানা পিলার বসানো হয়েছে।
বাদুরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বাচ্চু এ জমির মালিক না হয়েও গত ২৬ আগষ্ট দুপুরে ক্লাস বন্ধ রেখে দুলাল হাওলাদারকে স্কুলের সামনে লাঞ্চিত করে। এতে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে শিক্ষক মো. মাহমুদ আলম পলাশ ও তার শ্যালক ইবান হাওলাদার, দোলোয়ার খানসহ ৮-৯ জনকে খবর দেয় শিক্ষক বাচ্চু। এ সময় তাদের মারধরে মামুন হাওলাদার ও নুরজাহান বেগম আহত হয। দুই শিক্ষকের উপর কোন হামলা হয়নি বলে দাবি করেন দুলাল হাওলাদার। খবর পেয়ে কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের সামনেই এ জমি বন্টনের সালিশদার মিজানুর রহমান ও দুলাল হাওলাদারকে জীবননাশের হুমকী দেয়া হয়।
দুলাল হাওলাদার বলেন, স্কুলের জমির সাথে এ জমির কোন বিরোধ নেই। অথচ মিথ্যা হামলার অভিযোগ এনে ক্লাস বন্ধ রেখে প্রচন্ড রৌদ্রের মধ্যে দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করানো হয়েছে তাদের হয়রানী করার জন্য। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ইটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ও কলাপাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ আলম পলাশ জানান, শিক্ষক বাচ্চুকে মারধর করা হচ্ছে খবর পেয়ে তিঁনি ঘটনাস্থলে উপস্থি হলে তাকেও মারধর করা হয়েছে। তাদের উপর হামলা ও হুমকির ঘটনা মিথ্যা। তবে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। এখানে আমাদের কোন হাত ছিলো না বলে তিনি দাবি করেন।