3:19 pm , August 31, 2019
তরিকুল ইসলাম, পিরোজপুর ॥ ভা-ারিয়ায় এক বখাটের উৎপাত সইতে না পেরে রুকাইয়া রুপা (১৫) নামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলা সদরের ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী। নিহতের বাবা রুহুল আমিন মুন্সির জানান, বিগত কয়েক মাস ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে তার মেয়েকে ভান্ডারিয়াবন্দরের বাসিন্দা মঞ্জু খানের ছেলে আরাফাত তামিম খান (১৯) উত্যক্ত করত এবং কু-প্রস্তাব দিত । তাতে রূপা রাজি না হওয়ায় তার একটি ছবি এডিট করে বিভিন্ন জনের ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয় তামিম। শুক্রবার বিকেলে এক সহপাঠীর সাথে প্রাইভেট শেষে বাসায় ফেরার পথে পুনরায় পথ আটকে রূপাকে বিরক্ত করতে থাকে তামিম। তখন সে রূপাকে জানায় তার সাথে প্রেম না করলে এডিট করা ছবিটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিবে। বাড়িতে ফিরে রূপা বিষয়টি তার মাকে জানায়। তার মা তাৎক্ষণিক ভাবে রূপার বাবাকে জানালে রাতে বাড়ি ফিরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান রুহুল আমিন মুন্সি।
শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে বাড়ি ফিরে তিনি রূপাকে তার ঘরে ডাকতে পাঠালে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকির পরও তার কোন সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকেন। এ সময় তাকে ঘরের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পান। পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে ঘরে থাকা ঘুমের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরণের ওষুধ খেয়ে অচেতন হন। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, সেখানে তার কোন চিকিৎসা না করে ডাক্তাররা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রূপা ভান্ডারিয়া শহরের হোটেল ব্যবসায়ী রুহুল আমিন মুন্সির মেয়ে। এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাকসুদুর রহমানের সাথে সেল ফোনে জানতে চাইলে তিনি লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুরে পাঠিয়েছেন বলে জানান। এ ঘটনায় মামলা প্রকৃয়াধীন রয়েছে বলে জানাগেছে। এদিকে রূপাকে উত্যাক্তকারী আরাফাত তামিম খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারি ও সহপাটিরা শনিবার বেলা ১১ টায় বিদ্যালয়ের সামনের সড়র আবরোধ করে মানববন্ধন করেছে।