3:17 pm , August 30, 2019
ভোলা অফিস ॥ দৌলতখানের চরখলিফা এলাকায় সালিশের নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বসতবাড়ি ভেঙে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরুদ্ধে। প্রভাবশালীদের ভয়ে পুলিশ মামলা না নেয়ায় শুক্রবার বিকালে ভোলা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার দাবি করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ( বর্তমানে ট্রাক চালক ) মাকসুদুল ইসলাম। তবে দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ঘর ভাঙ্গার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। উভয় পক্ষকে শনিবার থানায় ডাকা হয়। সালিশদার আলাউদ্দিন জানান ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই ঘর ভেঙে দেয়া হয়। এক ভাই’র পক্ষে থেকে বাড়ির জমি বন্টনের জন্য বলায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অপরদিকে মাকসুদুল ইসলাম জানান, তারা ৫ ভাই। বর্তমানে তিন ভাই বিদেশে। এক ভাই মারা গেছেন। বর্তমানে বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন মাকসুদ। মৃত ভাইয়ের পরিবার। বাড়ির ঘরও তার টাকায় নির্মান করা হয়। বিদেশ থাকা ভাই মাইনুদ্দিন ও আহসানউল্লাহ তারাও কেই বাড়ির জমি বন্টনের জন্য বলেন নি। কেবল সৌদি আরবে থাকা ভাই মনজুর পক্ষ হয়ে সালিশদার মোস্তফার নেতৃত্বে মিন্টু রাজের বাহিনী বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই হামলা করে ঘরের দরজা, ও দেয়াল ভেঙে দেয়। মালামাল তছনছ ও লুটপাট করে। ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মুকু জানান, এদের ভাইদের মধ্যে একজন বাড়ির জমির বাটোয়ারা দাবি করেন। এ কারনে বাড়ির ভেতরের ৪৪ শতাংশ জমি ভাগ করতে গিয়ে ৫ শতাংশে থাকা মাকসুদের ঘর ভেঙে দেয়া ছাড়া উপায় ছিল না। তবে ভাঙার সময় মুকু এলাকায় ছিলেন না। অপরদিক মাকসুদ জানান, তারা প্রত্যেক ভাই প্রায় ৮ শতাংশ করে জমি পাবেন। অথচ তার ঘর রয়েছে ৫ শতাংশে। অন্য ভাইদের না জানিয়েই ইচ্ছেকৃতভাবে তার ঘর ভেঙে দেয়ায় কয়েক লাখ টাকার লোকসানে পড়তে হয়েছে। এমন কি ঘর ভাঙ্গার সময় তিনিও বাড়িতে ছিলেন না। বর্তমানে নতুন করে ঘর তৈরী করার ক্ষমতাও তার নেই। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে দুর্ভোগে থাকা ছাড়া উপার নেই। তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন সন্ত্রাসী ঘটনার বিচার দাবি করেন। অপরদিকে মাকসুদের ভাই মনজুর স্ত্রী রুমা জানান, তার স্বামী সৌদি আরব থাকেন। তিনি সন্তানদের নিয়ে ভোলা জেলা সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। বাড়ির প্রাপ্য অংশ তিনি চান। তবে তাদের অনুপস্থিতিতেই শালিশদাররা মাকসুদের ঘর ভেঙে দেয়।