3:05 pm , August 29, 2019
ভোলা অফিস ॥ ভোলার মেঘনা নদীতে ২ হাজার ২শ’ মেট্টিক টন সিমেন্টের ক্লিংকার নিয়ে এমভি তানভীর তাওসীফ-০২ নামের একটি মালবাহি কার্গো ডুবে গেছে। বসুন্ধরা নামের অন্য অপর একটি মালবাহি কার্গোর ধাক্কায় মঙ্গলবার রাত ১১ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে ডুবে যাওয়া জাহাজের ১২ স্টাফ। এদিকে দূর্ঘটনায় ২দিন অতিবাহিত হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারে কোন তৎপরতা না নেওয়ায় জাহাজটির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার খায়রুল আলম জানান, চট্ট্রগ্রাম থেকে সিমেন্ট ক্লিংকার নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে নদীর ¯্রােত বেড়ে যাওয়ায় ২৭ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মেঘনার বির বির বয়া সংলগ্ন স্থানে নোঙর করে রাখে। ওই রাত ১১ টায় বিপরীত দিক থেকে আসা বসুন্ধরা ফুড ওয়ান (গঙও-১২৩২) নামের অপর একটি জাহাজ ধাক্কা দিলে বাম সাইড ফেটে তাদের জাহাজটি ডুবে যায়। এই সময় জাহাজের স্টাফরা বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার করলে বসুন্ধরা ফুড-১ জাহাজটি উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেনি। পরে এমভি সানিলা নামের অপর একটি জাহাজ তাদের উদ্ধার করে। ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে ২ হাজার ২শ’ বস্তা সিমেন্ট ক্লিংকার ছিল। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকর্মীদের সাথে যোগাযোগ চলছে তারা আসলে নিমর্জ্জিত জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু হবে। উদ্ধার কাজে প্রায় ১ কোটি টাকার ব্যয় হবে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। এছাড়া দূর্ঘটনার কারণে ২০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বুধবার (২৮ আগস্ট) ভোলা সদর থানায় জিডি করেছেন ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার। সরেজমিনে গতকাল দুপুরে দেখা যায়, ভাটার সময় ডুবে যাওয়া জাহাজটি সামনের ও পিছনের দুইটি অংশবিশেষ দেখা যাচ্ছে। মালামাল সহ বাকী অংশ পানিতে ডুবে আছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এস আই সুজনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। সরেজমিনে দেখা পরিস্থিতি তারা উর্ধতণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান। ভোলা মডেল থানার ওসি মোঃ ছগির মিয়া জানান, জাহাজ ডুবির ঘটনায় বুধবার ভোলা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে।